সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বন্ধু' চিন নয়, প্রথমে ভারতেই আসতে চেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস! চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, চিন সফর চূড়ান্ত করার আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চেয়েছিলেন ভারতে যেতে। কিন্তু সেই আবেদনে নাকি সাড়া দেয়নি নয়াদিল্লি।

দিনকয়েক আগেই পড়শি দেশের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চায় বাংলাদেশ। তার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের ২ থেকে ৪ তারিখ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মোদির। যাওয়ার কথা রয়েছে ইউনুসেরও। ওই সম্মেলনের মাঝেই যেন দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের আয়োজন করা যায়, এমনটাই আবেদন জানানো হয়েছে বাংলাদেশের তরফে। যদিও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আপাতত এই বিষয়ে বলার মতো আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।”
এহেন পরিস্থিতিতে বুধবার চিন সফরে গিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। উল্লেখ্য, এদিনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। আর সেদিনই একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রেস সচিব। 'দ্য হিন্দু'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরিফুল বলেন, "চিন নয়, ভারত সফরই প্রথম পছন্দ ছিল প্রধান উপদেষ্টার। তাই গত ডিসেম্বরে ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের তরফে ইতিবাচক কোনও বার্তা মেলেনি।" তাই মুখোমুখি বসে আলোচনাও হয়নি মোদি-ইউনুসের।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় হাসিনার। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেন মহম্মদ ইউনুস। আট মাস হয়ে গেলেও এখনও তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি নমোর। গত সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দিয়েছিলেন মোদি। সেখানে গিয়েছিলেন ইউনুসও। তখন অধিবেশনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজনের সাক্ষাৎ হয়নি। তবে বেশ কয়েকবার তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে।