সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপির বিরোধিতা, আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার চাপের মাঝে বাংলাদেশে (Bangladesh) ঘোষণা হয়ে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি, রবিবার বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার পর দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে প্রত্যাখান করল বিএনপি (BNP)। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ”প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন। আমরা নির্বাচন হতে দেব না।” শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে বিএনপি বুধবার থেকে দু দিনের অবরোধ পালন করছে।
বুধবার বিকেল ৫টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভায় নির্বাচনের দিন-ক্ষণসহ তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসির ভাষণ একযোগে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার (Live) করা হয়। এবারই প্রথম তফসিল ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করা হলো। আগে সব সময় রেকর্ড করা ভাষণ প্রচারিত হত।
[আরও পড়ুন: নখের আঁচড়ে পেট ছিঁড়ে নাড়িভুঁড়ি টেনে বের করল ‘খুনে’ বাঁদর, মর্মান্তিক মৃত্যু কিশোরের]
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচন (National Election) হয়। তার পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সে হিসেবে এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পর মাঝে ৫২ দিন রেখে নির্বাচন কমিশন ভোটের এই তারিখ নির্ধারণ করেছে।
[আরও পড়ুন: কে ‘নাসির’? জয়নগর হত্যাকাণ্ডের ‘মাথা’র চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ]
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে প্রত্যাখান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন। তাঁর ভাষা প্রধানমন্ত্রীর ভাষারই প্রতিফলন। তফসিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। রিজভীর আরও দাবি, ‘‘সরকার আবারও একদলীয় নির্বাচন করার নীল নকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার আস্থাস্থল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশি রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন। এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য, আওয়ামি লিগ (Awami League)সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফসিল জারি করত না। তফসিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।”