shono
Advertisement

নির্মম! স্বজাতি কিশোরের হাতের কবজি কেটে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি রোহিঙ্গাদের

আরও ৪ জনকে অপহরণের পর ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি দুষ্কৃতীদের।
Posted: 02:10 PM Jun 04, 2023Updated: 02:15 PM Jun 04, 2023

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীদের ভিড়ে আত্মগোপন করে আসা দুষ্কৃতীদের অপকর্ম চলছেই। প্রতিদিনই তাদের কুকর্মে অতিষ্ঠ রোহিঙ্গা-সহ কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা। শরণার্থী শিবিরের তরুণী-যুবতীদের অপহরণ করে হোটেলে নিয়ে জোর করে দেহব্যবসার পাশাপাশি বিদেশেও পাচার করার অভিযোগ উঠছে। তোলাবাজি, খুন-খারাপি তো নিত্যদিনের ব্যাপার। এবার তাদের দৌরাত্ম্য একেবারে চরমে উঠল। কক্সবাজারের (Cox’s Bazar)টেকনাফের আলিখালি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা কিশোর-সহ ৫ জনকে অপহরণ করেছে সে। আর তারপর জাহাঙ্গির আলম নামে ওই কিশোরের বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেরত পাঠাল অপহরণকারীরা (Kidnappers)! হেফাজতে থাকা অপর চারজনের জন্য চাওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ (Ransome)।

Advertisement

জাহাঙ্গির আলম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলিখালি ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামসু আলমের ছেলে। হাতের কবজি (Wrist)কাটা অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে আলিখালি ক্যাম্প থেকে অপহরণ করা হয় পাঁচ রোহিঙ্গাকে। এদের মধ্যে একজন বছর ষোলর জাহাঙ্গির আলম। অপহৃত অপর চারজন একই ক্যাম্পের নুর হোসেনের ছেলে মহম্মদ ইউনুস, মহম্মদ রফিকের ছেলে মহম্মদ সুলতান, আবদুর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ ও মহম্মদ সৈয়দের ছেলে আনোয়ার ইসলাম।

[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে হুগলির জনাইয়ের মনোহরা চেখে দেখবেন অভিষেক, প্রস্তুতি তুঙ্গে]

ওই ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা (মাঝি) নুরুল আমিন জানান, শুক্রবার রাতে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতীরা ৫ রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভিতরে নিয়ে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পের কাঁটাতারের পাশের পাহাড়ের পাদদেশে জাহাঙ্গির আলমের একটি হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ক্যাম্পের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এনজিও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

[আরও পড়ুন: ছেলেকে হারালেন যশ-নুসরত! ‘পরপারে দেখা হবে..’, লিখলেন অভিনেত্রী]

নুরুল আমিন জানান, অপহরণকারী চক্রটি অপহৃত অপর চারজনের পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। না দিলে তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। টেকনাফ থানার আবদুল হালিম জানান, ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী এপিবিএন সদস্য ও থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং অপহরণের শিকার রোহিঙ্গাদের উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ”আলিখালি ক্যাম্প থেকে ৫ রোহিঙ্গাকে অপহরণ ঘটনাটি জানার পর উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement