shono
Advertisement

‘দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়বই’, জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে শপথ কন্যা হাসিনার

হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা।
Posted: 07:48 PM Mar 17, 2024Updated: 07:48 PM Mar 17, 2024

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৭টায় ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অফ অনার প্রদান করে। হাসিনার অঙ্গীকার, “দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়বই।”

Advertisement

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়। এর পর আওয়ামি লিগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।

[আরও পড়ুন: মহাকাশে নৈশভোজ! গাঁটের কড়ি খসালেই মিলবে সুযোগ, যাবেন নাকি?]

স্বাধীন দেশে ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ছিল বঙ্গবন্ধুর ৫৩ তম জন্মদিন। স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর প্রথম জন্মদিন। ওইদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সফরে আসেন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম মুজিব। ইন্দিরা গান্ধী তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফরের জন্য দারুণ একটি দিন বেছে নিয়েছিলেন। সেদিন শ্রীমতী গান্ধী ৫৫ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে ফলমূল ও মিষ্টান্ন উপহার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আয়োজনকে দিয়েছিলেন ভিন্নমাত্রা। ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন বাংলাদেশের উষ্ণ হৃদয় বন্ধুস্বজন, বাঙালির কাছের মানুষ। যেমন ভৌগোলিক দিক থেকে তেমনি আত্মিক দিক থেকেও।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ক্ষমতাসীন ছিলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর এ দেশের প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে এসেছিলেন ঢাকায়। বক্তব্য রেখেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, যেখানে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের ৯২ লক্ষ হানাদার বাহিনী। ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় ইন্দিরা গান্ধীকে বহনকারী ভারতীয় বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানটির গায়ে ভারতের তেরঙ্গার পাশে ছিল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।

[আরও পড়ুন: পিচ বিকৃত করেই বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরেছিল ভারত! বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন তারকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement