সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও বিপাকে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করল বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ সংক্রান্ত তদন্ত বিভাগ। গত বছরের ডিসেম্বরে ভারচুয়াল এক বৈঠকে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধে উসকানি ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে সিআইডি। মুজিবকন্যা-সহ মোট ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর। হাসিনা ছাড়া এই অভিযোগে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে আমেরিকার আওয়ামি লিগ সংগঠনের সহ সভাপতি রবি আলমের। দ্রুত মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা।

সিআইডি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের 'জয় বাংলা ব্রিগেড' একটি ভারচুয়াল বৈঠকের আয়োজন করে। তাতে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫৭৭ জন অংশ নিয়েছিলেন। সেই বৈঠকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর কৌশল হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে গৃহযুদ্ধ উসকে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এভাবে সরকার উৎখাত করে হাসিনার ঢাকা ফেরার পথ মসৃণ করতে চেয়েছিলেন জয় বাংলা ব্রিগেডের সদস্যরা, অন্তত সিআইডির দাবি এমনই। বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে অনলাইনে ওই গোপন বৈঠকের গোটা পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, এই সব কিছু হয়েছে মুজিবকন্যার অঙ্গুলিহেলনে। সেই কারণে তিনি-সহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের হল।
সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন এবং তার পরবর্তী গণ অভ্যুত্থানের জেরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে তিনি রয়েছেন ভারতের আশ্রয়ে। এর দিন কয়েকের মধ্যে নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি হয় অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রায়শয়ই নয়াদিল্লির উপর চাপ দিচ্ছে ঢাকা। তাঁকে নাগালে পেতে ইন্টারপোলেরও সাহায্য নিচ্ছে ইউনূস সরকার। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনা ও আওয়ামি লিগের বহু নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তারই মধ্যে মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে দায়ের হল গৃহযুদ্ধে উসকানি ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের মামলাও।