সুকুমার সরকার, ঢাকা: আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের প্রবল দাবির মুখে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ‘হাসিনাঘনিষ্ঠ’ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তাঁর জায়গায় নতুন বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ, রবিবার তিনি শপথ নেন। তাঁর সঙ্গেই শপথ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, ড. বিধান রঞ্জন রায়।
এদিন, বেলা ১টায় বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি ও দুই উপদেষ্টাকে শপথবাক্য পাঠ করান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহবুদ্দিন। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারেরউপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম আমেরিকা থেকে আজ রাতে দেশে পৌঁছবেন। তিনি আগামী সোম বা মঙ্গলবার শপথ নিতে পারেন। এই তিন উপদেষ্টা গত গত ৮ আগস্ট, বৃহস্পতিবার ঢাকার বাইরে থাকায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। আজ বেলা ১১টার দিকে দুই উপদেষ্টা-সহ প্রধান বিচারপতি বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। তাঁদের শপথ নেওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
[আরও পড়ুন: হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের রাস্তায় হাজার হাজার হিন্দু, ‘ওঁরাও আমাদের ভাই’, প্রতিক্রিয়া ইউনুসের]
গতকাল, শনিবার, প্রধান বিচারপতি-সহ আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বেলা দেড়টার দিকে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পর আন্দোলনকারীরা কোর্ট চত্বর ছেড়ে চলে যান। প্রধান বিচারপতির পর আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি মহম্মদ আবু জাফর সিদ্দিকী ও কাশেফা হোসেনও পদত্যাগ করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহবুদ্দিনের কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়। ওবায়দুল হাসান‘হাসিনাঘনিষ্ঠ’হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তাই তাঁর পদত্যাগ নিয়ে পড়ুয়ারা লাগাতার দাবি তুলছিলেন।