সুকুমার সরকার, ঢাকা: স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ বন্ধুর বিরুদ্ধে। আর তার জেরে ভয়ংকর কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলল বাংলাদেশের (Bangladesh) বরিশালের এক যুবক। বাড়িতে ডেকে বন্ধুকে খুন (Murder) করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা বরগুনার আমতলি উপজেলার কালিপুর গ্রামের ইউসুফ মোল্লা, পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলার গন্ডামারা গ্রামের মহঃ নাজমুল ইসলাম ওরফে অমি ও বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলার সোনাহার গ্রামের হামিম শিকদার। বরিশালের কোতোয়ালি থানা তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে বরিশাল নগরের রূপাতলি এলাকার অপহৃত (Kidnapped) ব্যবসায়ী শাহিন মোল্লার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেন র্যাব সদস্যরা। শাহিন মোল্লার অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন তরুণকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের পাওনা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, তাই সমস্যা হচ্ছে’, বকেয়া DA নিয়ে দাবি তৃণমূলের]
র্যাব (RAB)সূত্রে খবর, এঁদের মধ্যে ইউসুফ মোল্লা এই ঘটনার মূল হোতা। তাঁর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় শাহিন মোল্লাকে অফিস থেকে বাড়িতে ডেকে এনে হত্যার পর দেহ লোপাট করা হয়। বয়সের ব্যবধান থাকলেও শাহিন ও ইউসুফের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে ইউসুফের বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। অভিযোগ, ইউসুফের স্ত্রীকে নাকি কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন শাহিন। তা শুনে আর স্থির থাকতে পারেনি ইউসুফ।
[আরও পড়ুন: তালিবান হামলার টার্গেট মুম্বই! এনআইএ দপ্তরে হুমকি ইমেল, বাড়ল নজরদারি]
এরপর গত ২৭ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যান শাহিন। ৩০ তারিখ কোতোয়ালি মডেল থানায় জেনারেল ডায়েরি করা হয়। তারপর ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে শাহিনের পরিবারের সঙ্গে। শাহিনের বোন শিরিন আক্তার র্যাব-৮ বরিশাল সদর দপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে র্যাব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে। তাদের জেরা করে স্বীকারোক্তির পর দেহ উদ্ধার হয় শাহিনের। গোটা ঘটনা স্পষ্ট হয়ে যায়।