সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে বিপত্তি। গণধর্ষণের শিকার দুই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরের জেলা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানা এলাকায়। গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে র্যাব পাকড়াও করেছে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কাটাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই কিশোরী। অভিযোগ, বিয়ে বাড়ি সেরে ফেরার পথে তাঁদের আটকায় ৬ যুবক। খুনের হুমকি দেয় তাদের গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। গত ৩০ ডিসেম্বর এই ঘটনাটি ঘটে। এক কিশোরীর বাবা হালুয়াঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে মূল অভিযুক্ত রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
[আরও পড়ুন: সন্তানের অমঙ্গলের ভয় দেখিয়ে বধূর খোলামেলা ছবি আদায় জ্যোতিষীর, তারপর…]
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে একটি বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে ওই দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। তাদের সঙ্গে থাকা ১০ বছরের শিশু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় মামলা হয় ৩০ ডিসেম্বর।” খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, লোকলজ্জার ভয় এবং প্রাণনাশের হুমকির কারণে কিশোরীদের পরিবার মামলা করতে দেরি করে।
রিয়াদ এলাকায় বখাটে ছেলে হিসেবেই পরিচিত। ইভটিজিং, তোলাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে রিয়াদের বিরুদ্ধে। দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শুক্রবার রাতে রিয়াদ-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ময়মনসিংহ জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচ অভিযুক্তকে ময়মনসিংহ ও গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতেরা হল শরিফ, মিয়া হোসেন, মিজান, রোকন ও হামিদ। মামলার প্রধান অভিযুক্ত রিয়াদ। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব নির্যাতিতার পরিজনেরা।