সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানের কৌশলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি! বাংলাদেশের এক মৌলবাদী নেতার এমনই এক ভিডিওকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কলকাতায় একের পর আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে আবদুল খুদ্দাস ফারুকি নামের এক মৌলবাদীকে। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয়ে উঠেছে দেশের গোয়েন্দা বিভাগ।
'ভয়েজ অফ হিন্দু' নামে বাংলাদেশের এক সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে মৌলবাদী নেতা ফারুকির তীব্র উসকানিমূলক ওই ভিডিও। যেখানে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সেনা যদি কলকাতা দখলের পরিকল্পনা করে তাহলে তাঁর কাছে রয়েছে দারুন এক পরিকল্পনা। যা বাস্তবায়িত করতে ৭০টা যুদ্ধ জাহাজ তো দূর ৭টা সাধারণ বিমানও লাগবে না। কলকাতার বাসিন্দাদের আমি চিনি। তাঁরা রক্ত দেখলেই ভয় পায়। বাংলাদেশ সেনা একবার অনুমতি দিলে ওখানে আত্মঘাতী বাহিনী পাঠিয়ে সব ধ্বংস করে দেওয়া একেবারেই কঠিন নয়।
রাশিয়া ও আমেরিকাকে দেশছাড়া করতে তালিবান যে পন্থা অবলম্বন করেছিল সেই একইপন্থা কলকাতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই মৌলবাদী নেতা। ফারুকির দাবি অনুযায়ী, ঠিক যেভাবে তালিবানরা শরীরে বোমা বেঁধে আমেরিকার সেনার ক্যাম্পের সামনে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাত, এবং শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু হত ঠিক একইভাবে হামলা হবে কলকাতাতে। যত পারব আত্মঘাতী হামলা ঘটাব। 'নিজে মরো এবং সকলকে মারো', এই কৌশলেই তালিবানরা দুই সুপার পাওয়ারকে আফগানিস্তান থেকে তাড়িয়েছে। কলকাতাতেও এমনটা করা একেবারেই কঠিন নয়। বাংলাদেশের মৌলবাদীর এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই মৌলবাদী নেতার কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর ইউনুস জমানায় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চলছে মৌলবাদের রমরমা। নতুন করে সেখানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন। একদা শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বের সেতু বাঁধতে শুরু করেছেন ইউনুস। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আনসারুল্লা বাংলা নামে জঙ্গি সংগঠনের একাধিক সদস্যকে। দেশের উত্তর-পশ্চিমে সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এরই মাঝে বাংলাদেশ থেকে আসা এহেন হুমকিকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না গোয়েন্দা বিভাগ। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন দেশের গোয়েন্দারা।
