সুকুমার সরকার, ঢাকা: অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর (Humaira Himu) রহস্যমৃত্যু। আর তা কেন্দ্র করেই বাংলাদেশের বিনোদন জগতে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে হিমুর প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ওরফে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে হোমায়রা হিমুকে উত্তরায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর প্রেমিক রুফি ও পাতানো ভাই মিশির। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অভিনেত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হিমুর মৃত্যুর খবর শুনেই নাকি তাঁর মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় রুফি।
[আরও পড়ুন: উষ্ণ জলে আগুনে রূপ শ্রাবন্তীর, ছবি দেখে মন্দাকিনীর সঙ্গে তুলনা নেটপাড়ার]
এদিকে হিমুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবরে তোলপাড় বাংলাদেশের বিনোদন জগৎ। কেউ এই ঘটনাকে বলছেন আত্মহত্যা, কেউ আবার হত্যা বলে দাবি করছেন। পুলিশকে হিমুর পাতানো ভাই মিশির জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের মোটা দড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী। ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার (ইন্সপেক্টর অপারেশন) পার্থ প্রতিম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ সোহরাওয়ার্দি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হিমুর কেরিয়ার শুরু হয়। তার পর নোয়াখালির আঞ্চলিক ভাষার টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান অভিনেত্রী। ‘সোনাঘাট’, ‘চেয়ারম্যান বাড়ি’, ‘বাটিঘর’, ‘শোনে না সে শোনে না’, ‘কমেডি-৪২০’, ‘চাপাবাজ’, ‘অ্যাকশান গোয়েন্দা’, ‘ছায়াবিবি’, ‘এক কাপ চা’, ‘এ কেমন প্রতিদান’, ‘হুলো বিড়াল’, ‘ছন্নছাড়া ৪২০’, ‘অ্যাম্বুলেন্স ডাক্তার’, ‘পাগলা প্রেমিক’-এর মতো নাটক রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় হিমুর। ছবিতে তরু আপা চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। অভিযোগ, প্রেমিক রুফির সঙ্গে ঝামেলার জেরেই হিমু চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন। আবার অভিনেত্রীকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগেও বিদ্ধ রুফি।