সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু (Raima Islam Shimu) খুনের ঘটনায় আপাতত তোলপাড় গোটা বাংলাদেশ। কীভাবে নিজের স্ত্রীকে খুন করল সে, জেরায় জানায় তার স্বামী। ধৃতকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত এই নির্দেশ দেয়।
হত্যাকাণ্ডের দিন কীরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, পুলিশি জেরায় সেকথা জানায় নিহত অভিনেত্রীর স্বামী শাখাওয়াত আলিম নোবেল। সে জানায়, গত শনিবার রাতে স্ত্রী রাইমার সঙ্গে ঝগড়া হয়। ঝগড়াঝাটির মাঝে স্ত্রীকে চড় মারে। এরপর রাগের বশে স্ত্রীর গলা টিপে ধরে। তাতেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাইমার। খুনের পর স্ত্রীর দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে সে। ফোন করে বন্ধু আবদুল্লাহ ফারহাদকে। গোটা ঘটনা জানায়। এরপর তড়িঘড়ি বন্ধু তার বাড়িতে আসে। দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। দু’জনে মিলে দেহ বস্তায় ভরে। সেলাই করা হয় বস্তাটি।
[আরও পড়ুন: এই না হলে জামাই আদর, মেয়ের বাগদত্তাকে ৩৬৫ রকমের পদ রেঁধে খাওয়ালেন হবু শাশুড়ি]
সেই সময় বাড়িতে এক পরিচারক ছিল। যাতে তার নজরে কোনও কিছু না পড়ে তাই তাঁকে খাবার আনতে বাইরে পাঠায় নোবেল। সেই সুযোগে বাড়ির সিসি ক্যামেরার বিকল করা হয়। তারপর গাড়িতে বস্তাবন্দি খণ্ডিত দেহ নিয়ে বেরিয়ে যায় সে। দিনভর গাড়ি নিয়ে একাধিক জায়গায় ঘোরাফেরা করে স্বামী। এরপর ঢাকার কেরানিগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে অবস্থিত আলিয়াপুর এলাকার রাস্তায় বস্তাবন্দি অবস্থায় দেহ ফেলে রেখে বাড়ি ফেরে নোবেল।
বেশ কিছুক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর রাইমার দেহ উদ্ধার হয়। এদিকে, রাইমার ভাই কলাবাগান থানায় নোবেল-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি থানায় আরও জানান, প্রায়শই রাইমা ইসলাম শিমুকে মাদকাসক্ত অবস্থায় মারধর করত তার স্বামী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাইমার স্বামী এবং স্বামীর বন্ধু ফারহাদকে গ্রেপ্তার করে। রাতভর জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে। তবে ঠিক কী কারণে দাম্পত্য অশান্তিতে দিন কাটাচ্ছিলেন অভিনেত্রী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।