দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সামাজিক মাধ্যমে পরিচয়। তারপর দীর্ঘ কয়েক মাস উভয়ের মধ্যে কথাবার্তা। মাঝেমধ্যেই ভিডিও কলে দেখাও হয়েছে। আর তাতেই বেড়ে গিয়েছে মনের যন্ত্রণা। শেষমেশ প্রেমের টান এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে, মনের মানুষকে বিয়ে করতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে পৌঁছলেন যুবতী! তাও নাকি আবার বাঘের আতঙ্ক উপেক্ষা করে সুন্দরবনের (Sundarban) জঙ্গল, নদী পায়ে হেঁটে! কালীঘাটে এক হল চারহাত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির নাম কৃষ্ণা মণ্ডল। বাড়ি বাংলাদেশের শ্যামনগরে। মাস ছয়েক আগে বাংলাদেশের ওই তরুনীর সঙ্গে পরিচয় হয় নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানার রেনিয়া এলাকার এক যুবকের। তারপর অভীক মণ্ডল নামে ওই যুবক মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। ক্রমশ দৃঢ় হয় তাঁদের সম্পর্কের বাঁধন। এরপরই প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর ছাড়ে মেয়েটি। রাতের অন্ধকারে নদী-জঙ্গল পেরিয়ে চলে আসে ভারতে। তবে মেয়েটির কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না।
[আরও পড়ুন: ‘সরকারি টেন্ডারে দেরি কেন?’, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের ‘কানমলা’র দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর]
ওই তরুণী জানিয়েছেন, সে মূলত বাংলাদেশের শ্যামনগর থেকে কালিন্দী নদী পেরিয়ে চলে আসে। ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও রাতে ওই এলাকা ফাঁকা ছিল, ফলে সমস্যা হয়নি। সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এসে নদী পেরিয়ে আসার পর উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থেকে তরুনীকে নিয়ে আসে প্রেমিক। কালীঘাটে গিয়ে বিয়েও করে নেয়।
মাসখানেক অভীকের সঙ্গে সংসার করছিল কৃষ্ণা। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ রনিয়া থেকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে তরুণীকে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন অভীক। জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, সে সত্যিই সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে নদী পেরিয়ে এসেছে না বেআইনিভাবে তাকে কেউ অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।