shono
Advertisement

Breaking News

SIR

নথি নেই, এসআইআর শুনানিতে ডাক পেয়েই 'আত্মঘাতী' হুগলির যুবক

পরিবারের পাশে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
Published By: Kousik SinhaPosted: 02:18 PM Dec 31, 2025Updated: 02:47 PM Dec 31, 2025

সুমন করাতি, হুগলি:  হিয়ারিংয়ের শুনানিতে ডাক পেয়েছিলেন! কিন্তু হাতে ছিল না প্রয়োজনীয় নথি। এরপর থেকেই গ্রাস করেছিল মানসিক অবসাদ। এরপরেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ৩৬ বছরের স্বপন বাগদি। মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সপ্তগ্রামে। পরিবারের অভিযোগ, শুনানিতে ডাক পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ছিল। তার জেরেই এই ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়েই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। তাড়াহুড়ো করে এসআইআর করতে গিয়েই বিপদের মুখে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, স্বপন বাগদি সপ্তগ্রাম বিধানসভার সপ্তগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তিসবিঘায় ৭৮ নম্বর বুথের ভোটার ছিলেন। পেশায় সাধারণ দিনমজুর। একেবারেই দুঃস্থ একটি পরিবার। মৃতের স্ত্রী প্রতিমা বাগদি বলেন, ''বিএলও ফোন করে এসআইআরে শুনানির জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাগজ ছিল না স্বামীর। ছিল শুধু ভোটার কার্ড। যা নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন।'' শুধু তাই নয়, প্রতিমাদেবী আরও জানান, ''বিএলওর ফোন আসার পর থেকেই চুপচাপ ছিলেন। ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে অশান্তি লাগত, রেগে যেতেন। মঙ্গলরাতে এই ঘটনা।'' এসআইআরে শুনানির জন্যেই এই ঘটনা বলে দাবি স্ত্রী প্রতিমা বাগদির।

অন্যদিকে ঘটনার পরেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তিসবিঘা এলাকায় যান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যা প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য মানস মজুমদার। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মানস মজুমদার বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই রেললাইনের পাশে পরিবার নিয়ে থাকতেন স্বপন। ওদের কাগজপত্র ছিল না। আর তাই এসআইআরে ডাক পেয়ে বিপাকে পড়ে যান।'' মানসবাবুর কথায়, ''কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি স্বপন বাগদিকে। শুনানিতে যাওয়ার কথা ফোন করে বলা হয়েছিল।'' এরপরেই এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকেই একহাত নেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার দায় কমিশনেরই বলেই দাবি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • হিয়ারিংয়ের শুনানিতে ডাক পেয়েছিলেন! কিন্তু হাতে ছিল না প্রয়োজনীয় নথি।
  • গ্রাস করেছিল মানসিক অবসাদ।
  • এরপরেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ৩৬ বছরের স্বপন বাগদি।
Advertisement