অর্ণব আইচ: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এসেছিল বিপুল সোনা। ছক ছিল, সেই সোনা থেকে গয়না বানিয়ে চোরাই পথে ফের ঢাকায় পাচার করা। কিন্তু ভেস্তে গেল পরিকল্পনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিল শুল্কদপ্তর। আর তাদের হাতে উঠে বিপুল সোনা ও নগদ টাকা। কলকাতা সংলগ্ন এলাকা থেকে বিপুল চোরাই সোনা ও নগদ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সোনার বাট রাখা ছিল বরানগরে একটি দোকানে। গয়না তৈরি করে তা ফের বাংলাদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ল সোনা। উদ্ধার হল প্রচুর নগদও। দোকানদারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য ১৬ লক্ষ টাকা। নগদ রাখা ছিল ৭৪ লক্ষ টাকা। সবটাই বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্কদপ্তর। কোন পথে এত সোনা বরানগরের দোকানে এল, তা খতিয়ে দেখছে শুল্কদপ্তর।
[আরও পড়ুন: লজ্জা! চাকরির টোপ দিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ, ছুঁড়ে ফেলা হল দোতলা থেকে]
সামনেই রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় নির্বাচন। তার আগে বিপুল নগদ উদ্ধার হওয়ায় চিন্তা বেড়েছে রাজ্য পুলিশের। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে অনেকসময় ঘুরপথে উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে কলকাতায় আসে চোরাই সোনা। আবার অনেকসময় বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সোনা আসে কলকাতায়। এবার কোন রুটে সোনা পাচার হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশও।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হল বিপুল অঙ্কের সোনা। জিনসের কোমরের অংশের ভিতর সেলাই করে আটকানো সোনার মলম (Gold Paste)। বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ৬৬ লক্ষ টাকা। পোশাকের ভিতর লুকিয়ে কিংবা গোপনাঙ্গে আটকে সোনা পাচার এখন ‘ব্যাক ডেটেড’। কাস্টমসের কর্মীরা হাতেনাতে ধরে ফেলছে পাচারকারীদের কায়দা-কানুন। তাই নিত্যনতুন পদ্ধতিতে সোনা পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এবার যেমন শুল্ক দপ্তরের চোখে ধুলে দিতে ‘সোনার মলম’ তৈরি করে ফেলেছে তারা। তাও আবার পোশাকে সেলাই করে রাখা অংশে এমন ভাবে আটকে রাখছেন যে বুঝে ওঠাই দুষ্কর।