সুব্রত বিশ্বাস: মিক্সচার-গ্রাইন্ডারে লুকিয়ে টাকা পাচারের ছক! কলকাতা স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি নাগরিক। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ জলিল। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের রায়গঞ্জের শরিয়তপুরে। জলিলের কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রায় ৮ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে আরপিএফ ও কাস্টমস। পাশাপাশি মিলেছে ১০,৭০০ মার্কিন ডলারও।
সূত্রের খবর, শনিবার কলকাতা স্টেশনে মৈত্রী এক্সপ্রেস ধরতে এসেছিলেন বাংলাদেশের জলিল। এদিন সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ আরপিএফ ও কাস্টমসের চেকের সময় তাঁর কাছ থেকে মিক্সচার-গ্রাইন্ডার মেলে। যা দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ ইন্সপেক্টর রমেশচন্দ্র জোশীর। তার পর কাস্টমসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রাইন্ডার মেশিনটি খোলা হয়। ভিতরে কালো কাগজে মোড়া রোল দেখা যায়। যা খুলতেই ভারতীয় মুদ্রায় ৮ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা ও ১০,৭০০ মার্কিন ডলার মেলে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির ডুবন্ত জাহাজকে কেউ বাঁচাতে পারবে না’, CBI-NSG তল্লাশির পরদিনই তোপ মমতার]
এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় টাকা পাচারকারী জলিলকে। তথ্য না দিয়ে এই অর্থ পাচারের জন্য তাঁকে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগকারী দুটি ট্রেন রয়েছে। মৈত্রী ও বন্ধন। কলকাতা স্টেশন থেকে চলে ট্রেন দুটি। সকাল ৭.১০ মিনিটে মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে ছাড়ে। তার আগে যাত্রীদের অভিবাসন দপ্তর চেকিং করে। অভিযোগ, এই ট্রেনে পণ্য পাচার চলে রমরমিয়ে। আগে বিএসএফ প্রহরার দায়িত্বে থাকলেও বেশ কিছু মাস আগে তারা দায়িত্ব ছেড়েছে। এখন দায়িত্ব সামলায় আরপিএফ ও জিআরপি। সঙ্গে থাকে কাস্টমস। তা সত্বেও এই ধরণের পাচারের ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রেল কর্তারা।