সুকুমার সরকার, ঢাকা: জেল হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী ঢাকা। গত বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছেন ৫৩ বছরের লেখক মুশতাক।
[আরও পড়ুন: মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে সেনাশাসকদের উদ্দেশে সাফ বার্তা ভারতের]
২০২০ সালের ৬ মে মুশতাক ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাব বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুজব ছড়িয়ে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। হাসিনা সরকারের অত্যন্ত কড়া সমালোচক বলে পরিচিত ছিলেন মুশতাক। তাই তাঁকে পথে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলির। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। বিক্ষোভে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স বলেন, “করোনার ১১ মাসে দেশে যে মহালুট ও দুর্নীতি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন লেখক মুশতাক। এই সরকার এতই অসহিষ্ণু, তার মসনদ এতই দুর্বল যে এই ন্যুনতম সমালোচনাও সহ্য করতে পারেনি। যে ব্যক্তিই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করবে তাকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে কারাগারের অন্ধকার ঘরে ঠেলে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় দমন নিপীড়নের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে লেখক মুশতাক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
এদিকে, সমস্ত অভিযোগ উড়য়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাঁর বক্তব্য, “, ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় সক্রিয় রয়েছে। আল-জাজিরার রিপোর্ট সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তবে চক্রান্তকারীদের সব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই বিচার হবে।” তবে তাঁর বয়ানেও থামছে না বিক্ষোভ। বিতর্কিত আইনটির প্রতিবাদে সরব হয়েছে ‘মুক্তমনা’ সংগঠনগুলি।