সুকুমার সরকার, ঢাকা: নিউ ইয়র্কের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা। ফের বিদেশের মাটিতে খুন হলেন বাংলদেশের যুবক! এবার অভিযোগ, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এমরাজ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরি দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতিরা। ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকার বেস্ট এরিয়ার ফালগুজ এলাকায়। সেখানে চাঁদা দেওয়া নিয়ে ঝামেলায় জড়ান এমরাজ। কথা কাটাকাটি হতে হতে দোকানের সামনেই তাঁকে ছুরির কোপ মেরে পালায় দুষ্কৃতিরা। ওখানেই লুটিয়ে পড়েন বছর আঠাশের ওই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় এমরাজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি তরুণকে গুলি করে মারল মার্কিন পুলিশ]
পরিবার সূত্রে খবর, নিহত ওই ব্যবসায়ী আদতে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জগতপুর গ্রামের বাসিন্দা। বছর দশেক আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন। সেখানে একটি স্টেশনারি ও মুদি দোকানে কাজ করতেন তিনি। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও পাঁচ মাসের একটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনাটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন মৃত এমরাজের ভাই। দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকায় এমরাজের এক বন্ধু মারফত তিনি গোটা বিষয়টি জানতে পারেন। এনিয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাসিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসী হামলায় দাগনভূঞার এক প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছেন। আমরা সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপারটা জানতে পেরেছি। এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গত বুধবার নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই তরুণ মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে তিনি ৯১১-তে ডায়াল করেছিলেন। পুলিশ সেখানে পৌঁছলে রোজারিওকে দেখা যায় হাতে দুটো কাঁচি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। দাবি, এর পরই তিনি পুলিশের দিকে ছুটে গেলে অফিসাররা গুলি চালান। আর ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোজারিও। মৃত তরুণের ১৭ বছরের ভাইয়ের চোখের সামনেই ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তিনি পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন।