সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশে কোনও ‘ভবিষ্যত নেই’। তাই স্বপ্নের সন্ধানে ইউরোপের শরণাগত অন্তত ২০ হাজার বাংলাদেশি শরণার্থী। সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। অতীতেও বহুবার সুখের আশায় বাংলাদেশিদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে দেখা গিয়েছে। একাধিক নৌকাডুবিতে প্রাণও হারিয়েছেন অনেকে।
সম্প্রতি বাংলাদেশিদের বিদেশে যাবার প্রবণতার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর ২০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক আশ্রয় চেয়ে সংস্থাটির কাছে আবেদন জানিয়েছে। ইউরোপের (Europe) আশ্রয় বিষয়ক সংস্থা ইইউএএ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই সমস্ত তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রধান গন্তব্য- ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি এবং স্পেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন মোট ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার আবেদন পেয়েছে। ২০২০ সালের চেয়ে যা এক-তৃতীয়াংশ বেশি। সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছের সিরীয় ও আফগানরা। এছাড়া ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য ইউরোপে সাময়িক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন ৩০ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পরিবহণ বিপ্লব! এক বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন]
ইইউএএ বলছে, ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর মোট ৬০ লক্ষ মানুষ ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য ফিরেও গেছেন। ইইউএএ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ১ লক্ষ ১৭ হাজার সিরীয় এবং ১ লক্ষ ২ হাজার আফগান নাগরিক এ বছর ইউরোপে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। এরপর যেসব দেশ থেকে বেশি আবেদন পড়েছে সে দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ইরাক, পাকিস্তান, তুরস্ক। আবেদনকারীদের অর্ধেকের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। এর ৭০ শতাংশ পুরুষ।
জানা গিয়েছে, আশ্রয় চেয়ে করা প্রতি দশটি আবেদনের মধ্যে প্রায় তিনটি আবেদন অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে এসেছে এবং মোট আবেদনের চার শতাংশ আবেদন পড়েছে অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের তরফ থেকে। এসব আবেদনের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষকে এরই মধ্যে আশ্রয় বা সুরক্ষা দিয়েছে ইউরোপ। এছাড়া প্রায় ৭ লক্ষ ৭০ হাজার আবেদনের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।