সুব্রত বিশ্বাস: যাবতীয় টানাপোড়েন, সংশয়ে ইতি। মিলল রেলের অনুমোদন। শুক্রবার থেকে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে (Staff special train) চড়তে পারবেন ব্যাংকের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টেশন ম্যানেজার, টিটিই-সহ অন্য বিভাগীয় আধিকারিকদের কাছে অনুমতি পত্র পাঠিয়েছেন পূর্ব রেলের (Eastern Railway) ডিভিশন্যাল কমার্শিয়াল ম্যানেজাররা। তাতেই জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকেই ব্যাংক কর্মীদের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হল স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন। এতদিন এই ট্রেনে রেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাই যাতায়াত করতে পারতেন। এবার পারবেন ব্যাংকের কর্মীরাও।
দিন কয়েক আগে রাজ্যের তরফে ব্যাংক (Bank) কর্মীদের পরিবহণের সুবিধার্থে ছাড় দেওয়ার আবেদন জানায়। রেলের তরফে জানতে চাওয়া হয়, কত ব্যাংক কর্মী ট্রেনে যাতায়াত করবেন? তা স্পষ্ট হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যদিও রাজ্য এই উত্তর দেয়নি বলে তখন জানিয়েছিলেন পূর্ব রেলের এজিএম। এজিএম আরও বলেন, ”ব্যাংক সংগঠন বারবার আবেদন করায় রাজ্যের তরফে উত্তর না আসার পরেও রেল তখনকার মতো ব্যাংক কর্মীদের স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেয়। তবে রাজ্যের দিকে এখনও আমরা উত্তরের প্রত্যাশায় তাকিয়ে রয়েছি। কারণ, ট্রেন বাড়লে কর্মী সংখ্যাও বাড়াতে হবে। সেই পরিকাঠামো তৈরি রাখতে হবে।” এরপর রেলের তরফে বলা হয়, মান্থলি কেটে প্রত্যেককে যাতায়াত করতে হবে। যে সব ব্যাংক কর্মীরা নিত্যযাত্রী ও মান্থলি রয়েছে, তাঁরা তা পুনর্নবীকরণ করিয়ে নিতে পারবেন।
[আরও পডুন: ফের পথে নেমে জনসেবা মমতার, আলিপুরে নিজেই দুর্গতদের হাতে তুলে দিলেন ত্রাণ]
করোনার (Coronavirus) শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যে চলছে কড়া বিধিনিষেধ। বন্ধ গণপরিবহণও। তবে চলছে রেলের বিশেষ ট্রেন স্টাফ স্পেশ্যাল। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত ব্যাংকে যেতে হচ্ছে কর্মীদের। সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ব্যাংক খোলা। কর্মস্থল থেকে দূরে থাকা কর্মীদের ব্যাংকে পৌঁছতে ঝক্কি পোহাতে হচ্ছিল। তাই ব্যাংক কর্মীরা যাতে যাতায়াতের জন্য ওই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন, সেই আরজি নিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছিল ব্যাংক সংগঠন। আসলে, স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে আর কারা চড়তে পারবেন, তা রাজ্য সরকারের মাধ্যমেই রেলের কাছে সুপারিশ করার কথা ছিল। ব্যাংক কর্মীরাও বিশেষ ট্রেনে ওঠার অনুমতি পাক রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেই এমন আরজি জানিয়েছিল ব্যাংক সংগঠন। এবার তা মেনে নিল রাজ্য। উল্লেখ্য, আগেই এই ট্রেনে চড়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং হাই কোর্টের কর্মীরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ব্যাংক কর্মীরাও।