সুব্রত বিশ্বাস কোভিড পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরা (Bank)। অথচ প্রথমদিকে টিকার জন্য সরকারিভাবে অগ্রাধিকার পাননি। সম্প্রতি অবশ্য সেই অগ্রাধিকার দিয়েছে রাজ্য। এমনকী, কড়া বিধিনিষেধ চলাকালীন ব্যাংকে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বিশেষ সুবিধা পাচ্ছিলেন না কর্মীরা। এতদিন রেলকর্মীদের জন্য চলা স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠার অনুমতিও ছিল না তাঁদের। মঙ্গলবার ব্যাংক কর্মীরা সেই অনুমতি পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “রাজ্যের তরফে এ বিষয়ে কোনও চিঠি এখনও আমরা পাইনি। এর আগে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বিএসএনএল ও হাই কোর্টের কর্মীদের এই স্টাফ স্পেশ্যালে চড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এবার ব্যাংক কর্মীদের এই ছাড় দিতে হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।” একই কথা জানিয়েছেন শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং জানিয়েছেন, “রাজ্যের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা এখনও আমরা পাইনি।” রাতে অবশ্য পূর্ব রেলের এজিএম অনীত দুলাত জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ৩১২টি স্টাফ স্পেশ্যাল চলছে। সেই ট্রেনগুলিতে আগেই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার রাজ্যে আবেদনে পুলিশ, বিএসএনএল ও হাই কোর্টের কর্মীদের জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার পর ফের ব্যাংক কর্মীদের জন্য ছাড়পত্র দিতে বলেছে রাজ্য। এই মুহূর্তে স্টাফ স্পেশ্যালে যা ভিড় হচ্ছে তাতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যাঙ্কের কর্মী সংখ্যার রেকর্ড পাওয়া গেলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে তাদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি কোন দিক দিয়ে কত কর্মী ট্রেনগুলিতে যাতায়াত করবেন তাও জানা যাবে। সেই বুঝে টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। কারণ, রেকর্ড না থাকলে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কীভাবে নেবে রেল। কীভাবে দেবে ক্ষতিপূরণ। তাই ছাড় দেওয়ার আগে সার্বিক তথ্য চায় রেল।
[আরও পড়ুন: ৯ লক্ষ টাকার বিল মেটাতে না পারার ‘শাস্তি’, করোনায় মৃতের দেহ আটকে রাখল হাসপাতাল!]
করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যে চলছে কড়া বিধিনিষেধ। বন্ধ গণপরিবহণও। তবে চলছে রেলের বিশেষ ট্রেন স্টাফ স্পেশ্যাল। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত ব্যাংকে যেতে হচ্ছে কর্মীদের। সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ব্যাংক খোলা। কর্মস্থল থেকে দূরে থাকা কর্মীদের ব্যাংকে পৌঁছতে ঝক্কি পোহাতে হচ্ছিল। তাই ব্যাংককর্মীরা যাতে যাতায়াতের জন্য ওই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন, সেই আরজি নিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছিল ব্যাংক সংগঠন। আসলে, স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে আর কারা চড়তে পারবেন, তা রাজ্য সরকারের মাধ্যমেই রেলের কাছে সুপারিশ করার কথা ছিল। ব্যাংক কর্মীরাও বিশেষ ট্রেনে ওঠার অনুমতি পাক রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেই এমন আরজি জানিয়েছিল ব্যাংক সংগঠন। এবার তা মেনে নিল রাজ্য। উল্লেখ্য, আগেই এই ট্রেনে চড়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং হাই কোর্টের কর্মীরা। এই ছাড়পত্র মিললে, ব্যাংক কর্মীদের মান্থলি টিকিট কাটতে হবে। এর পর ব্যাংকের পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন তাঁরা।