জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তপ্ত বসিরহাটের (Basirhat) রানিগাছি গ্রাম। অপমানে নির্যাতিতা ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। রবিবার রাতে এ নিয়ে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারপর থেকে অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৪ বছরের গিয়াসউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে গ্রামের ২২ বছরের এক যুবতীর দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমিকা বেড়াচাপার ডঃ শহিদুল্লাহ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন বেশ কয়েকবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হয় অভিযুক্ত যুবক। এরপর ছাত্রী তাঁকে বিয়ের কথা বললে যুবক অস্বীকার করে। দীর্ঘদিন থেকে প্রেম চলাকালীন ধাপে ধাপে কয়েকবার ছাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা যুবতীর কাছ থেকে আদায় করেছে অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।
[আরও পড়ুন: শালবনি কোবরা ক্যাম্পে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী ২ জওয়ান, নেপথ্যে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক?]
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত্রি প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ যুবতীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে ফের ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরও যুবতী বিয়ের কথা বললে অস্বীকার করে গিয়াসউদ্দিন। তা জানাজানি হতে গ্রামের লোকজন এবং পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত যুবককে ধরে একটি ঘরে আটকে রাখে। চাপের মুখে পড়ে যুবক তখনকার মতো বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরদিন সকাল থেকে যুবতীর মোবাইল নম্বর সে ব্লক করে দেয় এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর এলাকা ছেড়ে পালিয়েও যায়।
[আরও পড়ুন: ভোট প্রচারের হাতিয়ার ঝুমুর-টুসু, সুন্দরবনে অনন্য নজির নির্বাচন কমিশনের]
অপমানে যুবতী আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। প্রথমে কেরোসিন খেয়ে এবং গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে চায় সে। আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন যুবতীকে উদ্ধার করে প্রথমে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করে। চিকিৎসাধীন থাকার প্রায় সাতদিন পরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত তার অবস্থা সংকটজনক। যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজ করছে।