সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র ফমূর্লাতেই নতুন ছবি বাস্তার তৈরি করেছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। তেইশ সালের বক্স অফিসে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। পয়লা সপ্তাহ তো বটেই, এমনকী পরে সপ্তাহ খানেক ধরেও গোটা দেশে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছিল। বিতর্কের শিরোনামেও একাধিকবার ঠাঁই পেয়েছিল সেই ছবি। তবে ‘বাস্তার’-এর (Bastar: The Naxal Story) ক্ষেত্রে হিসেবটা পুরো পালটে গেল! নকশাল কাহিনি দেখিয়েও পয়লা সপ্তাহে দর্শক টানতে পারল না সুদীপ্তর নতুন ছবি। যার প্রভাব পড়েছে ‘বাস্তার’-এর ক্যাশবাক্সে।
প্রথম সপ্তাহে ‘বাস্তার’-এর আয় মোটে ২ কোটি টাকা। যা কিনা ‘কেরালা স্টোরি’র ধারেকাছেও নেই! রিলিজের পয়লা দিন, শুক্রবার ব্যবসা করেছে মোটে ৪০ লক্ষ টাকার। বক্স অফিসের হিসেব বলছে, দ্বিতীয় দিন শনিবারের আয় আরেকটু বেড়ে ৭৫ লক্ষ টাকা। আর রবিবার সপ্তাহান্তে ৯০ লক্ষ টাকা আয় করেছে ‘বাস্তার’। সবমিলিয়ে ভারতে মোট আয় ২.০৫ কোটি টাকা। সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠেছে, বারবার প্রোপাগান্ডা থিওরিতে চলেই কি এমন ভরাডুবি? ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র ক্ষেত্রেও প্রচারমূলক সিনেমার তকমা জুটেছিল। তবে রিলিজের মাত্র ৩ দিনেই ১৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে বক্স অফিসে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল এই ছবি। ব্যবসার নীরিখে, ‘বাস্তার’ যে অনেকটাই পিছিয়ে, তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা-মালতীর জন্য ভারতে নিক, বউ-মেয়েকে ছাড়া থাকতেই পারছেন না ‘পরদেশী’ জামাই?]
‘বাস্তার: দ্য নকশাল স্টোরি’ ছত্তীশগড়ের বাস্তার অঞ্চলের কাহিনি। একেবারেই বাস্তব ঘটনার উপর নির্ভর করে তৈরি এই ছবি। অন্তত, এমনটাই দাবি করেছেন পরিচালক সুদীপ্ত। এই ‘বাস্তার’-এ প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে নকশালবাদ। মাওবাদীরা ছত্তীশগঢ়ের বাস্তারে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৭৬ সেনাকে হত্যা করে। মূলত, সেটাই গল্পের মূল। ছত্তীশগড়ের বাস্তার এলাকায় নকশালরা কীভাবে নিজেদের আলাদা শক্তি তৈরি করে ফেলেছে, তা দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। কীভাবে তারা বাস্তারের স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে এবং এর প্রেক্ষপটে আইপিএস অফিসার নীরজা মাধবন ওরফে আদা শর্মা, কীভাবে নকশালবাদীদের বিনাশ করে, কীভাবে সে দেশের সিস্টেমের সঙ্গে লড়াই করে, সেই গল্পই এগিয়েছে ‘বাস্তার’-এ। তবে বক্স অফিসে সেরকম ছাপ ফেলতে পারছে না এই ছবি।