সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ভারতীয় অ্যাথলিটদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল বিসিসিআই (BCCI)। অ্যাথলিটরা যাতে ঠিকঠাকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন, তার জন্য দশ কোটি টাকা দেবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। এদিন ভারতীয় বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সব উচ্চপদস্থ কর্তারা ভারচুয়ালি এই বৈঠকে ছিলেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “হ্যাঁ, আমরা অলিম্পিকের জন্য সাহায্য করছি। এদিন অ্যাপেক্স কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেই দশ কোটির অনুদানের ব্যাপারটা চূড়ান্ত হয়েছে।” ২৩ জুলাই থেকে এবারের অলিম্পিকে শুরু হচ্ছে। ওই কর্তা বলেছেন, “বিসিসিআই সবসময় অলিম্পিক স্পোর্টসে ডেভলপমেন্টের ব্যাপারে সাহায্য করে এসেছে। এই ব্যাপারটা যে এবারই প্রথম হল, তা নয়। ” একইসঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারটা উঠল। এর আগে বোর্ডের এসজিএমে সবার প্রথম হরিয়ানা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এই ব্যাপারটা নিয়ে সরব হয়েছিল। করোনার প্রকোপে গতবার কাঁটছাঁট করে ঘরোয়া ক্রিকেট করতে হয়েছিল। রনজি ট্রফি হয়নি। শুধুমাত্র ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টি হয়েছিল। যার ফলে ক্রিকেটারদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এখন কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যা খবর, এই ব্যাপারটা দ্রুতই মিটে যেতে চলেছে। এছাড়া যা শোনা যাচ্ছে, তাতে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০২৮-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০৩১-র ওয়ান ডে বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিড করবে।
[আরও পড়ুন: মিলখা সিংকে শ্রদ্ধা জানাতে নয়ডার স্টেডিয়ামে ফারহান আখতারের ছবি! নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড়]
এদিকে, টোকিও অলিম্পিক শুরু হওয়ার এক মাস আগে অলিম্পিক ভিলেজ খুলে দেওয়া হল। সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেই ভিলেজ খুলে দিয়ে বোঝানো হল, ভাইরাস প্রতিষেধক হিসাবে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করার ক্লিনিককে কীভাবে ব্যবহার করা হবে। আসলে করোনা ভাইরাসের জন্য এক বছর অলিম্পিক শুধু পিছিয়ে গিয়েছে তাই নয়, দেশবাসী এখনও রাজি নয়, অলিম্পিক হোক। অর্থাৎ যাবতীয় সমালোচনা বন্ধ করার জন্য সংগঠকরা বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, অলিম্পিক নিরাপদে সম্পন্ন হবে। এমন কী করোনা ভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
২৩ জুলাই থেকে টোকিও অলিম্পিক শুরু হচ্ছে। রবিবার অলিম্পিক ভিলেজ উদ্বোধন করার পর সংগঠকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাথলিটরা যাতে সমস্যায় না পড়েন তারজন্য কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সারানোর জন্য একটা ক্লিনিক খোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দল বেঁধে মদ্যপান করা যাবে না। তাছাড়া অলিম্পিকের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মিক্সড জোনও বন্ধ রাখা হচ্ছে। অ্যাথলিটরা গিয়ে তাঁদের শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে মিক্সড জোনে দেখা করতে পারতেন। প্রতিটি ঘরের সামনে ও অলিম্পিক ভিলেজে সতর্কীকরণের পোস্টার দেওয়া থাকবে। যাতে অলিম্পিকে যোগ দেওয়া প্রায় ১৮ হাজার অ্যাথলিটদের কী করতে হবে, না হবে তা বুঝতে সমস্যা না হয়। ৪৪ হেক্টরের উপর ২১টা টাওয়ার বানানো হয়েছে। অত্যাধুনিক সমস্ত সুযোগ সুবিধা সেখানে পাবেন অ্যাথলিটরা। সেই ভিলেজের মধ্যে খেলার মাঠ থেকে শুরু করে ড্রাই ক্লিনার্স, আইস বাথ, তিন হাজার আসন বিশিষ্ট ক্যান্টিন, পার্ক, জিম, বিনোদনের যাবতীয় উপকরণসহ সবকিছুর ব্যবস্থা থাকছে। অ্যাথলিটদের সাহায্য করার জন্য প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে কাজে লাগানো হচ্ছে।