সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলির বিস্ফোরক প্রেস কনফারেন্সের পর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই মৌন ভাঙলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। নিজের তরফে কোনও মন্তব্য করে বিতর্কে ধুনো দিতে না চাইলেও সৌরভ বলে দিলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিসিসিআই। যা যা পদক্ষেপ করার সেটা বোর্ডই করবে।
আসলে, বিরাটের অভিযোগগুলি নিয়ে বুধবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তর লেখালেখি হলেও, বোর্ডের তরফে বা সৌরভের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিরাট যে মিথ্যা বলছেন, সেটাও বেসরকারি ভাবে দাবি করেছেন বোর্ডের এক কর্তা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই প্রথম বোর্ডের তরফে সরকারি ভাবে এ বিষয়ে মুখ খোলা হল। যদিও বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্ট মুখ খুললেও গুমোট সরালেন না। বললেন,”বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। এ নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। বিসিসিআই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বোর্ডই করবে।”
[আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: ‘অসত্য ভাষণের দায়ে’ উলটে কি কোহলিকে শোকজ করতে চলেছে বোর্ড?]
সৌরভ প্রকাশ্যে তেমন কিছু না বললেও সূত্রের খবর, দলনায়কের ওপর বোর্ডকর্তারা এতটাই চটেছেন যে প্রয়োজনে দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমিতে তাঁকে শোকজ করা হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, কোহলি (Virat Kohli) তো শুধু তীব্র সমালোচনাই করেননি, বোর্ডপ্রধানকে প্রকাশ্যে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে ছেড়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন প্রথম টেস্টের আগে বিদেশের মাঠে শোকজ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে। সম্ভবত সেকারণে একটু রয়েসয়ে পদক্ষেপ করতে চাইছে বোর্ড।
[আরও পড়ুন: বল বিকৃতির কলঙ্ক অতীত! কঠিন সময়ে সেই স্মিথকেই অধিনায়ক বাছল অস্ট্রেলিয়া]
তবে কোহলি যে সত্যি কথা বলছেন না, সেটা বুধবারই পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের এক কর্তা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, “বিরাট মিথ্যা বলছেন। গত সেপ্টেম্বরেই তাঁকে টি-২০ অধিনায়কত্ব না ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছিল।”মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে তাঁকে জানানো হয় যে তিনি আর ওয়ানডে অধিনায়ক থাকছেন না। বিরাটের এই দাবিও একপ্রকার নাকচই করে দিয়েছেন বোর্ডের ওই কর্তা। তিনি বলছেন, নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা (Chetan Sharma) দল নির্বাচনের বৈঠকের দিন সকালেই কোহলিকে জানিয়ে দেন, যে তিনি আর অধিনায়ক থাকছেন না।