সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোর্ড সভাপতি পদ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) অপসারণ নিশ্চিত হতেই কূটনৈতিক এবং আর্থিকভাবে বিরাট ধাক্কার মুখে পড়তে চলেছে বিসিসিআই। সূত্রের খবর, ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোনও করছাড় পাচ্ছে না। যা ফলে ৫৮ থেকে ১১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বিসিসিআই। ভারতীয় মুদ্রায় যা কিনা ১ হাজার কোটিরও বেশি।
আসলে, যে কোনও আইসিসি (ICC) টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে ১০ শতাংশ কর নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বোর্ড সরকারের কাছে করছাড় পেলেও ভারতীয় বোর্ড তা পায় না। বিসিসিআই সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শুধু ক্রিকেট বোর্ডের জন্য নিয়ম বদলাতে চাইছে না। যার ফলে আইসিসি (ICC) এই বিপুল করের টাকা ভারতীয় বোর্ডের লভ্যাংশ থেকে কাটতে চলেছে বলে দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ম্যাচের দিন সকালে বুট পেলেন মেয়েরা, প্রকাশ্যে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দুরাবস্থা]
যার অর্থ বিসিসিআই অন্তত হাজার কোটির লোকসানের মুখোমুখি। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বোর্ড রাজ্য সংস্থাগুলিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে, তারাও সম্ভবত আইসিসির দেওয়া লভ্যাংশ থেকে কম ভাগ পাবে। যদিও বিসিসিআইয়ের কাছে এখনও আইসিসির কাছ থেকে এই করের টাকা আদায় করার পথ খোলা আছে। যেটা সৌরভ (Sourav Ganguly) এবং জয় শাহ জুটি ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) ক্ষেত্রে করতে পেরেছিল। কিন্তু আগামী দিনে রজার বিনিরা সেটা পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ বোর্ডেরই অন্দরে। আর ২০২৩ বিশ্বকাপে এই ছাড় না পেলে আগামী দিনেও ভারত আইসিসি টুর্নামেন্টগুলিতে ছাড় থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ছিটকে গিয়েছেন বোর্ডের বৃত্ত থেকে, কামব্যাকের প্রেরণা খুঁজতে সোনালি অতীতই ভরসা সৌরভের?]
আইসিসির প্রকাশিত তালিকায় ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করবে ভারত। এরপর ২০২৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হবে এ দেশে। আবার বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। তাছাড়া ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপও ভারতেই হবে। অর্থাৎ আগামী দশ বছর ভারতীয় ক্রিকেটারপ্রেমীদের পোয়াবারো। কিন্তু এতগুলি টুর্নামেন্ট পুরনো করকাঠামোয় আয়োজন করতে গেলে বিসিসিআইয়ের বিরাট লোকসান হবে। সৌরভ এবং শাহরা তৎপরতা দেখানোয় ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে এই করের টাকা আইসিসির থেকেই উশুল করতে পেরেছিল ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু সৌরভের সরে যাওয়া নিশ্চিত হতেই ফের আগের হারে কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।