সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ তৃণমূলের। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পথে নামলেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। শুভেন্দুর সভায় কর্মীসমর্থকদের যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অভিসন্ধিতে তৃণমূল পথ অবরোধ করেছে বলেই দাবি বিজেপির। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল।
শনিবার সকালে মথুরাপুরের লালপুরে প্রথমে পথ অবরোধ শুরু করে তৃণমূল। তারপর একে একে কুলপির শ্যামবসুর চক এবং হটুগঞ্জে শুরু হয় পথ অবরোধ। টায়ার পুড়িয়ে জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, ১০০ দিনের কাজ বন্ধের প্রতিবাদ পথ অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে মথুরাপুরের লালপুরে চলে অবরোধ। স্বাভাবিকভাবেই অবরোধের ফলে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: কাঁথিতে আজ মেগা ইভেন্ট, অভিষেকের সভা ঘিরে জমাট তৃণমূলের ঐক্য]
পথ অবরোধের পর বাস ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা ওই বাস চড়ে শুভেন্দুর সভাস্থলে আসছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বাস লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা একাজ করেছে বলেই অভিযোগ। ইটের ঘায়ে ভেঙে যায় বাসের কাচ। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
শুভেন্দুর সভার আগে হটুগঞ্জে তীব্র উত্তেজনা। এই এলাকায় সকালে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। পালটা প্রতিবাদ করে বিজেপি।শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ। দোকান, গাড়ি ভাঙচুর শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাইক। তৃণমূল কার্যালয়েও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। শুভেন্দুর সভাস্থলে যাওয়ার পথে বাধা পান অগ্নিমিত্রা পল। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যাতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিতে না পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই একাজ করেছে তৃণমূল। যদিও সে অভিযোগে একেবারেই অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তাদের এই আন্দোলন বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
উল্লেখ্য, শুভেন্দুর সভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত থেকেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। টুইটে একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, লাইট হাউস মাঠে মঞ্চ বাঁধতে ডেকরেটরকে বাধা দেওয়া হয়েছে। আচমকাই রাতে মঞ্চের বাঁশ খুলে নেওয়া হয়। চেয়ারও সরিয়ে নেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। সভা বানচালের চেষ্টার নেপথ্যে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনকেই দায়ী করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। টুইটে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন শুভেন্দু। সভা বানচালের চেষ্টার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।