ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনের হুমকি দিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই৷ দু’দিন দিল্লিতে আলোচনা ও কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর আমেদাবাদ যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছোট ভাই প্রহ্লাদভাই মোদি বলেছেন, ‘‘বড় দাদার বিরুদ্ধে নয়। আমি আন্দোলন করছি কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে। তাই দাবি না মানা পর্যন্ত রেশন ডিলারদের সংগঠনের আন্দোলন চলবে।” প্রহ্লাদভাই মোদি এদিন কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “তাঁদের দাবি মানার জন্য কেন্দ্রকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত চরম সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে তাঁদের দাবি মানা না হলে ২৫ সেপ্টেম্বর যন্তরমন্তরে ‘জেল ভরো’ আন্দোলন হবে। সেই কর্মসূচিতে দেশের সব ডিলাররা অংশ নেবেন৷” তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আরও একপ্রস্থ আলোচনায় বসবে রেশন ডিলারদের সংগঠন। প্রহ্লাদভাই মোদি বলেছেন, জেল ভরো আন্দোলনের সামনের সারিতে তিনি থাকবেন। এই কর্মসূচি সফল করতে জনমত সংগঠিত করতে হবে। তাই প্রয়োজনে বিভিন্ন রাজ্যেও যাবেন তিনি ও তাঁর সংগঠনের প্রতিনিধিরা৷
[অসমে বাধার মুখে তৃণমূল, শিলচর বিমানবন্দরে আটকানো হল প্রতিনিধিদের]
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা সোমবার বিভিন্ন দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁকে স্মারকলিপি দেন। সংগঠন সূত্রে খবর, খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। তাই মঙ্গলবার সংগঠনের প্রতিনিধিরা দিনভর আলোচনা করে জেল ভরো আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। প্রহ্লাদভাই মোদির মতোই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেছেন, “সংগঠনের দাবি নিয়ে দিনভর আলোচনা হয়েছে। সেখানেই জেল ভরো কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷
প্রহ্লাদ মোদি টানা আট বছর ধরে রেশন ডিলার সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এদিন তিনি একের পর এক উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রের নীতির জন্যই দেশে গণবণ্টন ব্যবস্থা উঠে যেতে বসেছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাইয়ের অভিযোগ,“খাদ্যের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত৷ কিন্তু কেন্দ্রের নীতির জন্যই দেশের একটি বড় অংশের মানুষ এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।” উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে চণ্ডীগড় ও পণ্ডিচেরিতে রেশন ব্যবস্থা উঠে গিয়েছে। ওই দুই রাজ্যে কোনও গণবণ্টন ব্যবস্থা নেই। আরও বেশকিছু রাজ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থা উঠে যেতে বসেছে৷
[সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাহাড়ে সিআইডির অভিযান, বাজেয়াপ্ত গুরুং দম্পতির সম্পত্তি]
তাঁর কথায়, “গত চার বছরে দেশের ৩৩ শতাংশ নাগরিক গণবণ্টন ব্যবস্থার বাইরে রয়েছেন। এই নাগরিকদের অবিলম্বে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি ওই দুই রাজ্যে বন্ধ হওয়া সব রেশন দোকানও খোলার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ প্রহ্লাদভাই মোদির সাফ কথা, “আমি রাজনীতি করি না। কিন্তু দেশের রেশন ব্যবস্থায় বর্তমানে যা চলেছে তাতে চুপ করে থাকা যায় না। তাই আন্দোলনে থাকছি। অসমে নাগরিক পঞ্জি থেকে ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম বাদ যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷
The post লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নামছেন মোদির ভাই appeared first on Sangbad Pratidin.