অর্ণব দাস, বারাসত: ১৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর মহিলার মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার মধ্যমগ্রাম। খুনের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের। পরিবারের তরফে মধ্যমগ্রাম থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার প্রেমিক বাপি ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই খুন বলেই অনুমান মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশের।
মধ্যমগ্রাম পুরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড রিজিয়াভাটা এলাকায় এক মহিলার মুন্ডু কাটা অবস্থায় দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছাড়ায় শনিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা বয়স ৪৫ বছরের তপতী হালদার নিখোঁজ ছিলেন। মধ্যমগ্রামের পলাশি পাড়ার বাসিন্দা।
[আরও পড়ুন: কালিম্পং থেকে গ্রেপ্তার পাক চর! বনগাঁ সীমান্তে আন্তর্জাতিক মোবাইল পাচারচক্রের পর্দা ফাঁস]
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের পলাশিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তপতি হালদার। কয়েক বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি ছেলেকে নিয়েই বাড়িতে থাকতেন। একই এলাকার বাসিন্দা বাপি ঘোষের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বেরোনোর পর থেকে তপতিদেবীর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ছেলে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন।
শনিবার সকালে রিজিয়াভাটা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জঙ্গলে মুন্ডু কাটা পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলামও ঘটনাস্থলে যান। পরে নিখোঁজ মহিলার ছেলেকে দিয়ে সনাক্ত করার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় মৃতদেহটি তপতি হালদারের। এদিনই মৃতার ছেলে থানায় বাপি ঘোষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে মিলল সমাধান সূত্র, ৫ দিন পর আন্দোলন প্রত্যাহার কুড়মিদের]
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রেমিক বাপি ঘোষের সঙ্গেই শেষবার মোবাইলে কথা হয়েছিল তপতিদেবীর। তাই প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়নের জেরেই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার পর গত কয়েকদিন তপতি কোথায় ছিল, কবে এবং কিভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। খুনের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।