সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজকর্মী তথা সরকার বিরোধী এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে লিথুয়ানিয়ার পথে থাকা ‘রায়ানএয়ার’-এর একটি বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে রাজধানী মিনস্কে নামতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে বেলারুশের (Belarus) বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: করোনা ছড়ানোর আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ইউহানের ৩ গবেষক, নয়া রিপোর্টে চাঞ্চল্য]
বিবিসি সূত্রে খবর, রবিবার ‘রায়ানএয়ার’-এর ফ্লাইট এফআর-৪৯৭৮ গ্রিসের এথেন্স থেকে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে যাচ্ছিল। ওই প্লেনে সওয়ার ছিলেন বেলারুশের ‘বিদ্রোহী’ সাংবাদিক রোমান প্রোতেসেভিচ। লিথুয়ানিয়া সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই মিগ-২৯ ফাইটার জেট পাঠিয়ে বিমানটিকে পূর্বদিকে ঘুরিয়ে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে নিয়ে আসা হয়। ফ্লাইটটিতে ১৭১ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটি নামার পরই গ্রেপ্তার করা হয় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর প্রবল সমালোচক প্রোতেসেভিচকে। যদিও দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম বলছে, বোমাতঙ্কের কারণে উড়োজাহাজটির গতিপথ ঘুরিয়ে সেটিকে মিনস্কে জরুরি অবতরণ করানো হয়। যদিও তল্লাশি শেষে কোনও বোমা তাতে পাওয়া যায়নি। তারপর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বিমানটিকে গন্তব্যের উদ্দেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এদিকে, এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। ইউরোপের দেশগুলি এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বেলারুশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে। এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর হস্তক্ষেপের দাবি জোরাল হচ্ছে। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট বেলারুশ কর্তৃপক্ষের এই কাজকে ঘৃণ্য বলে উল্লেখ করেছেন। প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর এহেন হঠকারিতাকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন লাটভিয়ার বিদেশমন্ত্রী। গ্রিস এবং ফ্রান্সও এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ছিনতাই করা নজিরবিহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, এর সাজা পেতেই হবে। ন্যাটো মহাসচিবও এ ঘটনাকে মারাত্মক ও বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেছেন। সব মিলিয়ে, বিদ্রোহী সাংবাদিকের গ্রেপ্তারির পর চাপ বাড়ছে বেলারুশের উপর।