shono
Advertisement

Breaking News

পুরনিগমে জোড়া ডেপুটি মেয়র, বিরোধীদের হট্টগোল সত্ত্বেও বিধানসভায় পাশ পুর-সংশোধনী বিল

পুর প্রশাসনের কাজের সুবিধায় এই বিল, বললেন ফিরহাদ হাকিম।
Posted: 03:03 PM Nov 21, 2022Updated: 04:08 PM Nov 21, 2022

গৌতম ব্রহ্ম: নাগরিক পরিষেবা আরও উন্নত করতে সদাসতর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রশাসন। পুরনিগম এলাকায় আরও ভালভাবে কাজ চালাতে এবার জোড়া ডেপুটি মেয়র নিয়োগ করা হবে। এই মর্মে বিধানসভায় পাশ হল পুর-সংশোধনী বিল। সোমবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন। বিরোধীদের হইহট্টগোল সত্ত্বেও বিলটি পাশ হয়ে যায়। ফিরহাদ হাকিম প্রতিক্রিয়ায় জানান, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে দু’জন করে ডেপুটি মেয়র হলে প্রশাসন চালাতে সুবিধা হবে। এই বিলে সেই কাজ অনেক সহজ হল।

Advertisement

The West Bengal Municipal Corporation (Amendment)Bill, 2022 বিলটি সোমবার বিধানসভায় পেশ করেন ফিরহাদ হাকিম। বিরোধীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। চলে হইহট্টগোলও। তাতে বিরক্ত হন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ”আপনি আপনার সদস্যদের চুপ করতে বলুন। একজন বলছেন, অন্যরাও বলছে তাঁর কথা না শুনে। এভাবে চলতে পারে না।” তারপরও স্লোগান চলতে থাকে। পরে ওয়াক আউট করে বেড়িয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। বিনা বাধায় পাশ হয়ে যায় ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২২।

[আরও পড়ুন: লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে ব্লগার অভিজিতের খুনিদের ছিনতাই, বরখাস্ত বাংলাদেশের ৫ পুলিশ কর্তা]

কী রয়েছে এই বিলে? জানা গিয়েছে, পুর প্রশাসকদের ও আধিকারিকদের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে সংশোধিত বিলে। এই পদে এক্সিকিউটিভ পদের অফিসারদের নিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে। কারও উপর নির্ভর না করে আর্থিক সিদ্ধান্ত-সহ একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন তাঁরা। বিলটি আইনে পরিণত হলে পুরনিগমের খরচ, নিয়োগ, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন-সহ একাধিক কাজ নিজেদের সিদ্ধান্তেই করতে পারবেন মেয়র, ডেপুটি মেয়ররা। বিলটি আইনে পরিণত হলে বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, দুর্গাপুর, আসানসোল পুরনিগমে আরও একজন করে ডেপুটি মেয়র বসবেন।   

[আরও পড়ুন: ৩ ধর্ষক-খুনিকে বেকসুর খালাস মামলা: ‘সুপ্রিম’ রায়কে চ্যালেঞ্জ দিল্লির কেজরি সরকারের]

রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল বা সিআইসি (CIC) পদ তৈরি করার ক্ষমতা থাকবে এই বিলে। কাজে গতি আনতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।  রাজ্যপাল সই করলে বিলটি আইনে পরিণত হতে বাধা থাকবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement