সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে তিন বছরে পা দিল বাংলার পুজো কার্নিভাল। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কার্নিভাল আজ আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বজনীন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বাংলার পুজোকে সর্বজনীনের মোড়ক থেকে বেরিয়ে বিশ্বজনীন করার কথা বলেন। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার সেই প্রয়াসই প্রকাশ পেল মঙ্গলবারের গোধূলিতে। আলোকোজ্জ্বল রেড রোডে দেখা গেল বাংলার সমৃদ্ধি বাংলার সংস্কৃতি আর বাংলার কৃষ্টিকে।
[আবির্ভাব দিবসে গর্ভগৃহের বাইরে আসেন তারাপীঠে তারা মা]
দেশি-বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়ণের জন্য প্রস্ততই ছিল শহর কলকাতা। গোটা রেড রোড চত্বর সাজিয়ে তোলা হয়েছিল আলোর রোশনাইয়ে। প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, অভিজিৎ, জুন মালিয়া, ইন্দ্রাণী হালদার, রঞ্জিত মল্লিক, রুদ্রনীল, তনুশ্রী, রাইমা সেনদের মতো সেলিব্রিটিদের মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে উজ্জ্বল উপস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রেড রোডে এসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হাত ধরেই সূচনা হয় পূজো কার্নিভালের। তাঁর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমদের মতো শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা তো ছিলেনই, উল্লেখযোগ্য হারে উপস্থিত ছিলেন বিদেশি অতিথিরাও। প্রায় দেড় হাজার বিদেশি অতিথি এদিন উপস্থিত ছিলেন রেড রোডে। সূচনাটি হয়েছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব দিয়ে। একের পর এক শহরের সেরা ৭৪টি পুজো নিজেদের থিমের পসরা সাজিয়ে হাজির হয়েছিল কার্নিভালে। সেই সঙ্গে ছিল বাংলার কৃষ্টি বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ। কোথাও গান, কোথাও নাচ। কোথাও বা ছৌ, তো কোথাও ম্যাজিক শো। একেকটি ট্যাবলোর ইউএসপি ছিল এক এক রকম।
[লক্ষ্মীপুজোর আগে ফের দুর্গার আরাধনা দুর্গাপুরে, জানেন কেন?]
কার্নিভালের মাধ্যমে বাংলার পুজোকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানালেও এর একটা ভোগান্তির দিকও রয়েছে। কারণ এদিন দুপুর থেকেই রেড রোড, ডাফরিন রোড, আকাশবাণী ভবন সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়। খোলা রাখা হয় এজেসি বোস রোড-বিবাদী বাগ-স্ট্র্যান্ড রোড। আগত অতিথিদের এবং পুজো উদ্যোক্তাদের যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় তার জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয় পুরো রাস্তাটা। রেড রোড চত্বরের নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ করা হয়ে অতিরিক্ত আড়াই হাজার পুলিশকর্মী।
কার্নিভালও শেষ, সরকারিভাবে শেষ পুজো। ফোর্ট উইলিয়ামের সাউথ গেট থেকে শুরু করে একের পর এক দুর্গা মূর্তি পৌঁছে যাচ্ছে বাবুঘাটে। সেখানেই শেষ বিদায় মা-কে। তবে, নিরঞ্জনের মন খারাপের মধ্যে একটাই আশার কথা। “আসছে বছর আবার হবে…।”
The post বিশ্বের দরবারে বাংলার পুজো, তারকাখচিত কার্নিভালে বিদায় উমার appeared first on Sangbad Pratidin.