স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: ব্লক স্তরে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার কাছে নালিশ জানাবে বঙ্গ বিজেপি। শুক্রবারই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নাড্ডা ব্যস্ত থাকায় দু’বার চেষ্টা করেও দেখা করতে পারেননি সুকান্ত।
ধর্মতলার সমাবেশ শেষ হতেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সুকান্ত মজুমদার এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বিজেপি সভাপতি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের ন্যক্কারজনক ভূমিকার প্রতিবাদে আমরা বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছিলাম। তার পালটা বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল প্রমাণ করে দিল, আদতে বিডিওরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ব্লক পর্যায়ের নেতা।”
[আরও পড়ুন: ভোট গণনার আগে স্ট্রংরুমে ঢুকে পড়ার অভিযোগ, গ্রেপ্তার নিশীথ ‘ঘনিষ্ঠ’ বিজেপি নেতা]
ডায়মন্ড হারবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি বিরোধী দলনেতা হিসাবে বিষয়টা খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, সমস্ত ঘটনারই কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা কিছু ঘটছে তার ফল মারাত্মক হবে। যারা আজ কলকাতায় ডিমভাতের উৎসব করছে, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে ডায়মন্ড হারবারে। ভয় পাবেন না। লড়াই চালিয়ে যান। আমার বাড়িতেও বারবার আক্রমণ করিয়েছে।” যাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, দলের তরফে তাঁদের বাড়িতেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানান শুভেন্দু।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “উত্তেজনা তৈরি করার জন্য ওরা বলছে আমাদের দলের নেতাদের বাড়িতে ধরনা দেবে। কোন অধিকারে? এটা কোন গণতন্ত্র? এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে এই ধরনের গুন্ডামির চেষ্টা করা হয়েছিল।” বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে মহিলা বিজেপি প্রার্থীর হেনস্তা নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন কেঁদে ভাসিয়েছেন লকেট। ২ অক্টোবর দিল্লি অভিযান প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধরনা দিতেই পারে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার সমস্যা করলে, দিল্লি পুলিশ ‘খেলা হবে’ করবে।” দিলীপ এই প্রসঙ্গে বলেন, “কলকাতায় পুলিশ ওদের সঙ্গে আছে, এখানে কিন্তু তা হবে না। ওখান থেকে লোক নিয়ে এসে এখানে গন্ডগোল করলে তার পরিণাম যা হবে, তার দায়িত্ব উনি নেবেন তো?”