স্টাফ রিপোর্টার: বাংলায় দুর্বল বলে চিহ্নিত ১৯টি লোকসভা কেন্দ্র ঘুরে দিল্লিতে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। বাংলায় দলের বুথের সংগঠনের হাল নিয়েও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট করেছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের পর্যবেক্ষকরা। আর সেই রিপোর্টে বঙ্গ বিজেপির নিচুতলার সংগঠনের বেহাল অবস্থার ছবিটাই দিল্লির নেতাদের গোচরে এসেছে। দলের কোন্দলের বিষয়টিও নজরে গিয়েছে অমিত শাহ থেকে জে পি নাড্ডার (JP Nadda)।
বাংলায় দলের হাল নিয়ে পর্যবেক্ষকদের থেকে পাওয়া রিপোর্টে খুশি নন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর এই বুথ সংগঠন আর দলের মধ্যে লাগামছাড়া কোন্দল নিয়ে দিল্লির বৈঠকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে (Amitabh Chakraborty)। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে আজ থেকে দু’দিন দিল্লিতে বিজেপির বৈঠক। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সুকান্ত, অমিতাভ ছাড়াও থাকবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে। সব রাজ্যে নিযুক্ত দলের পর্যবেক্ষক, রাজ্য সভাপতি ও সংগঠন সম্পাদকরা এই বৈঠকে থাকবেন। লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন রাজ্যে দলের হাল নিয়ে যেমন আলোচনা হবে তেমনই আগামী কৌশলও ঠিক হবে বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: ‘সরকারই গণতান্ত্রিক অধিকার কাড়ছে’, ঝালদা পুরসভায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি অধীরের]
কিন্তু দলীয় সূত্রে যা খবর, বাংলায় দলের নিচুতলার সংগঠনের হাল নিয়ে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তা দেখে খুশি নন কেন্দ্রীয় নেতারা। অর্ধেকের বেশি বুথে কমিটি নেই। সামনে আবার পঞ্চায়েত ভোট। তাছাড়া বঙ্গ বিজেপিতে রাজ্য নেতাদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপ তিন মেরুতে রয়েছেন। সুকান্ত-শুভেন্দুর মধ্যে দূরত্ব বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনে আসছে। সৌমিত্র খাঁ ও সুকান্তর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী বায়ু দূষণের মাত্রা, নির্মাণ ও ইমারত ভাঙায় নিষেধাজ্ঞা জারি দিল্লিতে]
জেলায় জেলায় কোন্দল লাগামছাড়া। আবার বিধায়কদের একটা বড় অংশের সঙ্গে দলের জেলা ও মণ্ডলের নেতাদের সম্পর্ক ভাল। এই সব রিপোর্ট গিয়েছে শাহ-নাড্ডার (JP Nadda) কাছে। কাজেই দিল্লির বৈঠকে বাংলার নেতাদের নিয়ে আলাদা করে বসতে পারেন নাড্ডা। বঙ্গ বিজেপির মধ্যে কোন্দল কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তা নিয়ে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন সুকান্ত-অমিতাভ। বঙ্গ বিজেপির কোন্দলে তিতিবিরক্ত দিল্লি। তাই দ্বন্দ্ব থামাতে কড়া বার্তা দিতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয় সূত্রে এমনই খবর।