বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: একশো দিনের রাজ্যের পাওনা অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতে বুধবারই পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে ফোন করেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ বঙ্গ বিজেপি। বিষয়টি জানাজানি হতেই কেন্দ্রীয় রাজ্যের পাওনা অর্থ আটকাতে কৃষিমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চাইলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৯ ডিসেম্বর রাজ্য বিজেপির এই দুই নেতা একত্রে গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও সুকান্তর দাবি, অর্থ আটকাতে নয়, পঞ্চায়েতস্তরে চুরি ঠেকাতেই মন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ১০০ দিনের কাজের পাওনা অর্থ আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বকেয়া অর্থের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের মন্ত্রী। অবশেষে পাওনা অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এদিন রাজ্যের মন্ত্রীকে ফোন করেন গিরিরাজ সিং। যদিও বিষয়টি মন থেকে মানতে পারছে না বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
[আরও পড়ুন: ‘সংসদে বিপজ্জনক বিল আসছে, রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব হবে’, দিল্লিতে আশঙ্কা মমতার]
তৃণমূলের অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই রাজ্যের পাওনা অর্থ আটকাতে একাধিকবার কেন্দ্রকে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে এসে দরবার করেন সুকান্ত মজুমদার। তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল আসে রাজ্যে। তদন্তে তেমন কিছু না মেলায় এবার বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। তাতেও হাল না ছেডে় এবার দু’জনে একসঙ্গে গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুকান্ত ও শুভেন্দু।
এদিন সুকান্ত জানান, পঞ্চায়েতস্তরে ১০০দিনের কাজের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে তা প্রমাণিত। অনেক পঞ্চায়েত প্রধান অর্থ ফেরতও দিয়েছেন। রাজ্যকে পাওনা অর্থ দিলে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু সেই টাকা যাতে হাত ঘুরে তৃণমূল নেতাদের হাতে না যায় সেই আবেদন করতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রর পাঠান অর্থ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের খরচ তুলবে রাজ্যের শাসকদল। সেই বিষয়ে সতর্ক করতেই গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির।