অর্ণব দাস, বারাসত: নবান্ন অভিযানে দলের কর্মীদের ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা তৈরি রাখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার বারাসতে বাইক র্যালির পর এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি। পরে অবশ্য সাফাই দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্ত। তাঁর এহেন মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করেছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “প্ররোচনামূলক মন্তব্য। গোষ্ঠীবাজিতে বিদীর্ণ, জনবিচ্ছিন্ন দল বিজেপি।”
এদিন বারাসতে বাইক মিছিল করে বিজেপি। সেখানে বাইক চালাতে দেখা যায় সুকান্তকে। র্যালি শেষে জনসভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখান থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মিছিলে যোগ দেওয়ার ডাক দেন সুকান্ত। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “চোর নেতারা ভবিষ্যত প্রজন্মকে নষ্ট করছে। তার বিরুদ্ধে ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান হবে। সকলে ঝান্ডা নেবেন, ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা নেবেন। ডান্ডা-ঝান্ডা নিয়ে নবান্ন অভিযান করব আমরা।” স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন মন্তব্য হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছে বলে সরব হয় তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: খুনের পর যুবকের দেহ পুঁতে রাখার অভিযোগ, গ্রেপ্তার বাবা, মা ও দাদা, চাঞ্চল্য চোপড়ায়]
পরিস্থিতি সামাল দিতে সাংবাদিকদের কাছে সাফাই দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্তর কথায়, “নবান্ন অভিযানে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। জলকামান চালায়। ঝান্ডা উঁচু করে ধরতে তো ডান্ডা লাগবেই। তাই বললাম।” যদিও সাফাই দিয়ে বিশেষ লাভ হয়নি।
সুকান্তর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, “প্ররোচনামূলক মন্তব্য। বাম জমানায়, পুলিশের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে তা দেখে ওদের শেখা উচিত। যদি আন্দোলন করতে হয় তাহলে বাংলার বকেয়া মেটানোর জন্য আন্দোলন করুক। গোষ্ঠীবাজিতে বিদীর্ণ একটা দল। সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন। প্রচারে থাকতে এসব বলছে।”