রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একুশের লড়াইয়ে ২০০ আসনের টার্গেট নিয়ে এবার পুরোদমে ভোটের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল বিজেপি (BJP)। আর টার্গেট পূরণে বঙ্গ বিজেপির উপর ভরসা নয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতেই থাকছে রাশ। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রাজ্যের ৫ সাংগঠনিক জোনের দায়িত্ব দেওয়া হল ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে।
ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক করতে সোমবার রাতেই কলকাতায় পা রেখেছেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malvya)। আর এসেই তিনি হুঙ্কার দিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে ২০০র বেশি আসন পাবেই বিজেপি। এরপর মঙ্গলবার হেস্টিংসে দলের কার্যালয়ে অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা এবং রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। মোট ৬ জন কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বৈঠকে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেভাবে বঙ্গে লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দিয়েছেন অমিত শাহ, সেভাবেই বাংলায় ২০২১কে সামনে রেখে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হল।
[আরও পড়ুন: বাংলায় দু’শোর বেশি আসনে জিতবে বিজেপি, কলকাতায় পা দিয়েই দাবি অমিত মালব্যর]
জানা গিয়েছে, দলের পাঁচ সাংগঠনিক জোনে রাজ্য নেতাদের উপরে পর্যবেক্ষক ও আহ্বায়কের দায়িত্ব থাকবেন পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা –
- হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর – এই জোনের দায়িত্বে ত্রিপুরায় জয়ের অন্যতম কারিগর অভিজ্ঞ সুনীল দেওধর।
- রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্বে বিনোদ সনকর।
- কলকাতা জোনের দায়িত্বে দুষ্মন্ত গৌতম।
- নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বে বিনোদ তাওরে।
- উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় নেতা হরিশ দ্বিবেদী।
এই পাঁচটি জোনের নতুন দায়িত্বে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা আগামী ১৮ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জোনের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে গোটা পরিস্থিতি বুঝে নেবেন। সেইমতো তৈরি হবে পরবর্তী পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক, দেশের অন্যান্য রাজ্যে ক্ষমতা দখলের মতো বাংলায়ও মমতা সরকারকে ভূপতিত করে নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া কেন্দ্রের শাসকদল।