সন্দীপ্তা ভঞ্জ: শনিবারের বৃষ্টিভেজা রাত। কোথাও কাদা, কোথাও জল। তার মধ্যেই আর্টিস্ট ফোরামের গণ অবস্থান। দেব, ঋতুপর্ণা, পরমব্রত, বনি, কৌশানিদের পাশাপাশি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে শুভ্রজিৎ দত্ত, কমলিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, ঋতা দত্ত চক্রবর্তীরাও সরব হন।
ছবি: শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়
আর জি করের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভ্রজিৎ দত্ত বলেন, "গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কোনও না কোনও প্রতিষ্ঠানের উপর ভরসা রাখতে হবে। আমি পাকিস্তান-বাংলাদেশের অধিবাসী নয়, ভারতের অধিবাসী। সুতরাং আমাদের কোনও না কোনও প্রতিষ্ঠানের উপর ভরসা রাখতেই হয়। এটা তো হালকা চুরি ডাকাতি নয়। এটা ভয়াবহ ঘটনা। দিনের পর দিন এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। একটা সময় দেশের মানুষের মনে হয়েছে রুখে দাঁড়ানো উচিত। আমার নিজের মেয়ে আছে। শুধু মেয়ে বলে না। একটা কিছু বলা উচিত। তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু বলব না। নিশ্চয়ই তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে সময় লাগছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে শুধু এটুকু বলব, যেন অযথা যেন বেশি সময় না লাগে। একটা প্রকৃত বিচার যেন করা হয়।"
[আরও পড়ুন: ২৫ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত Horoscope: মনের বাসনা পূর্ণ হবে এসপ্তাহে? জেনে নিন রাশিফল]
দেবলীনা দত্তর কথায়, "এটা একদিন না একদিন তো হওয়ার ছিল। জল মাথার উপর উঠে গিয়েছে। এখন মানুষের মধ্যে আগুন জ্বলছে। ১৪ দিন হয়ে গিয়েছে এখনও একজনও অভিযুক্তকে ধরা হয়নি, বিভিন্ন অজুহাতে। যাঁরা ঢাকছেন অভিযুক্তদের, তাঁরা যদি ভেবে থাকেন মানুষকে বোকা বানিয়ে ঢাকছেন তাহলে তো সে ধারণা সম্পূর্ণ ভুল, কাউকে বোকা বানানো যাচ্ছে না। মানুষ জানে কী হচ্ছে। জানে বলেই এত প্রতিবাদ মিছিল।নইলে তো চুপ করে থাকত...মানুষ থামবে না কিন্তু এবার।"
মেয়েরা যখন 'রাত দখলে'র লড়াই করছে যখন পায়েল বাইক আরোহীর হাতে আক্রান্ত টলিউড অভিনেত্রী পায়েল মুখোপাধ্যায়। তাতে বিরক্ত স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। অভিনেত্রী মনে করেন, যদি সাদার্ন অ্যাভিনিউর মতো জায়গায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে বারবার নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই। স্নেহার আশা, সাদার্ন অ্যাভিনিউর ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আর জি করের ঘটনারও ন্যায়বিচার চান তিনি। "সঠিক স্বচ্ছ বিচার চাই, যতদিন না পাব ততদিন কাজকর্ম ছেড়ে রাস্তাতেই দাঁড়াব", বলেন কমলিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋতা দত্ত চক্রবর্তীর কথায়, "প্রতিবাদ জানাচ্ছি, ধিক্কার জানাচ্ছি। আমি সাধারণ মানুষ নেতা নই, মন্ত্রী নই, পাড়ার দাদা নই, কোনও রাজনৈতিক পতাকার তলে কোনওদিনই যাইনি। কিন্তু সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য বলছি প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"