shono
Advertisement

‘পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, মানুষের কান্না শুনুন, গণতন্ত্রকে বাঁচান’, বিচারব্যবস্থার কাছে আরজি মুখ্যমন্ত্রীর

;ওঁরা সম্মান নষ্ট করতে পারে না', মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে গর্জে উঠলেন মমতা।
Posted: 12:35 PM Oct 30, 2022Updated: 01:10 PM Oct 30, 2022

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামা রক্ষার দাবিতে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সরব হলেন ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ নিয়েও। তাঁর আশঙ্কা, দেশ ক্রমশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র বিচারব্যবস্থাই দেশবাসী, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর।

Advertisement

রবিবার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জিউরিডিক্যাল সায়েন্সেস-এর ১৪তম সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য উদয় উমেশ ললিত, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব-সহ বহু বিশিষ্ট জন। ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই বিচারব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্রকে রক্ষার আবেদন জানালেন মমতা। পাশাপাশি গর্জে উঠলেন মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে ।

[আরও পড়ুন: শ্বাসনালীর গঠন অসম্পূর্ণ, আজন্ম নীলাভ শিশুকে নতুন জীবন দিল এসএসকেএম]

এদিন বিচারপতিদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ করে বলেন, “বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে গাইড করছে।” তাঁর কথায়, “সংবাদমাধ্যম বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তারা কাউকে অপরাধী বলে দাগিয়ে দিতে পারে না। আমার সম্মান নষ্ট করে দিতে পারে না এরা। মানুষের সম্মানই বড়। আমাদের সম্মান চলে গেলে সব চলে যায়।” বিচারব্যবস্থার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, “যাঁরা নেতৃত্বে আছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে যাবেন এই জায়গায়, আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রক্ষা করুন। অযথা মানুষকে হেনস্তা করা হচ্ছে।”

এদিন দেশের প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ললিতজি আগামী মাসেই অবসর নেবেন। এই দু’মাসে আমরা দেখেছি বিচারব্যবস্থা কাকে বলে! আমি বলছি না বিচারব্যবস্থা থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপ হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে বিচারব্যবস্থাই একমাত্র মানুষকে বিপর্যয় থেকে বাঁচায়। বিচারব্যবস্থা মানুষের কান্না শুনুক।” তাঁর আশঙ্কা, “একদল মানুষ গণতান্ত্রিক কাঠামোকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। আড়ালে অনেক কিছু হচ্ছে। দেশ ক্রমশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে যাচ্ছে।” বিচারব্যবস্থাই দেশ, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারে বলেই তাঁর বিশ্বাস, জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: গোটা শরীর রক্তমাখা, বাঁ হাতে কাটা ডান হাত, মগরায় ছিনতাইবাজের দৌরাত্ম্যে অঙ্গহানি প্রৌঢ়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement