সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেলবাজেট নিয়েও এবার টুইটযুদ্ধ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে রেলের বরাদ্দে বাংলা বঞ্চিত বলে দাবি করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। রবিবার তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে টুইট করে ডেরেক দেখান যে কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলা বঞ্চিত।
তিনি লিখেছেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যে ২০ টি নতুন রেললাইন এবং ১০ টি রেললাইন উন্নত করার প্রকল্প নিয়েছিলেন তা বিজেপি সরকার কার্যত দূরে সরিয়ে রেখেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে কোনও নতুন লাইনের প্রস্তাব রাখা হয়নি।” বিজেপিকে নিশানা করে ডেরেক এও বলেন, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ‘ঐতিহাসিক’ বাজেটের দামামা বাজাচ্ছে।
[আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডের ধসে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ! পাশে থাকার বার্তা মোদি-মমতার, শুরু উদ্ধারকাজ]
সাধারণ বাজেট পেশের দিনেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেছিলেন, ৬,৬৩৬ কোটি টাকা বাংলার জন্য বরাদ্দ করেছে। এক ধাপ এগিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, ২০০৫ -১৪ পর্যন্ত বাংলার জন্য যে বরাদ্দ ২.৫ গুণ বেশি বরাদ্দ হয়েছে এ বারের বাজেটে। গত বছরের বাজেটের থেকে এবারের বরাদ্দ ২৬ গুণ বেশি। এই বক্তব্যেরই তীব্র বিরোধিতা করেছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। পাল্টা পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন,কাঁচড়াপাড়া রেল কারখানার জন্য গত বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ৭৪ লক্ষ টাকা। এ বার তা কমে হয়েছে নামমাত্র এক হাজার টাকা। টিকিয়াপাড়া রেল কোচ ফ্যাক্টরির জন্য বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র ৫ লক্ষ টাকা। রাণাঘাট বা ব্যান্ডেলের রেল কোচ রিপেয়ারিং সেন্টারের জন্য কানাকড়িও বরাদ্দ আসেনি এবারের বাজেটে। লিলুয়ার এসি ওভারহলিং ইউনিটের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ এক কোটি টাকা। খড়গপুরে ওয়াগন কারখানায় বরাদ্দ মাত্র ২ কোটি টাকা।
শুধুমাত্র বাংলার বঞ্চনাই নয়, টুইটে ডেরেকের আরও অভিযোগ গুজরাটের ছোটা উদয়পুর থেকে মধ্যপ্রদেশের ধার পর্যন্ত একটি লাইনের জন্য ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত ৫৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অথচ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জন্য এই সময়কালেই দেওয়া হয়েছে ৭.৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ এ দেওয়া হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা। দিঘা-জলেশ্বর , কালিয়াগঞ্জ -বুনিয়াদপুর, ইরফলা-ঘাটাল , আরামবাগ-চাঁপাডাঙার মত একাধিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ নামমাত্র এক হাজার টাকা।বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডেরেকের টুইটে রেল নিয়েও জমে উঠল তৃণমূল -বিজেপি তরজা। বিধানসভা নির্বাচনে এর কতটা প্রভাব পড়ে -তা সময়ই বলবে।