অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বাংলার রাজ্যপাল বদল হল। কিন্ত হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনের (Howrah Municipal Corporation Vote) ভাগ্যবদল হল না। হাওড়া থেকে বালিকে আলাদা করতে রাজ্য সরকারের আনা বিল পড়ে রয়েছে রাজভবনে। দায়িত্বে থাকাকালীনে তাতে স্বাক্ষর করেননি তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ফলে হাওড়া পুরনিগমে ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি। মনে করা হয়েছিল রাজ্যপাল বদলের পর পরিস্থিতি বদলাতে পারে। কিন্তু সেই আশায় আপাতত জল, অন্তত অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলল।
শনিবার হাওড়ায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অস্থায়ী রাজ্যপাল। সেখানে থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকরা তাঁকে হাওড়ার পুরভোট নিয়ে প্রশ্ন করেন। যার জবাবও তিনি দিলেন, কিন্তু তার সঙ্গে প্রশ্নের কোনও মিল নেই। হাওড়ার পুরভোট সংক্রান্ত প্রশ্ন করতেই লা গণেশনের সপাট জবাব, কান কাজ করছে না। কানে শুনতে পাচ্ছেন না। এরপর আর স্বাভাবিকভাবেই কোনও প্রশ্ন করেননি সাংবাদিকরা। তবে অস্থায়ী রাজ্যপালের জবাব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের ধারনা, কৌশলগতভাবেই এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেলেন রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন: ‘TET নেবেন না, আত্মহত্যা করব’, নিয়োগ তৎপরতা শুরু হতেই পর্ষদ সভাপতিকে হুমকি উত্তীর্ণদের]
শনিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার শরৎসদনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেবা কুম্ভ সমিতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসে বক্তব্য রাখেন। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সমাজ গঠনের প্রশংসাও করেন লা গণেশন। আর তার পর বেরনোর সময় হাওড়া পুরসভার নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই কানে শুনতে না পাওয়ার কথা জানান রাজ্যপাল। এ থেকেই কার্যত স্পষ্ট হয় হাওড়া পুরসভার নির্বাচন কবে হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে হাওড়া পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর বিভিন্ন টালবাহানায় নির্বাচন হয়নি। বিগত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর হাওড়া পুরসভা থেকে বালি পুরসভা আলাদা করা সংক্রান্ত ফাইলে সই না করায় ভোট প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমানে প্রশাসকমণ্ডলী হাওড়া পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।