গোবিন্দ রায়: রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির পোশাক (School Uniform) হবে নীল-সাদা রঙের। থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই পরিকল্পনায় রবিবার সমগ্র শিক্ষা মিশনের অনুমোদন মিলেছে। আর তারপরই শিক্ষাদপ্তরের তরফে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর সোমবার এই বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC)দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। জানা গিয়েছে, বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে এক আইনজীবী মামলাটি করেছেন। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
[আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে গতিপথ বদল, দিল্লি-দোহা যাত্রীবাহী বিমানের জরুরি অবতরণ করাচিতে]
স্কুলের ছাত্রদের পোশাক সাদা প্যান্ট এবং নীল জামা। আর ছাত্রীদের সাদা শার্ট এবং নীল টিউনিক ফ্রক। তৈরি হবে নীল-সাদা সালোয়ার কামিজও। প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের একটি হাফ ও একটি ফুলপ্যান্ট দেওয়া হবে। তারা পাবে একটি হাফ ও একটি ফুল শার্ট। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য থাকবে দুই সেট করে শার্ট ও টিউনিক ফ্রক। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীরা পাবে শার্ট ও স্কার্ট। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য থাকবে দুই সেট করে সালোয়ার কামিজ ও দুটি করে ওড়না। পোশাকের পকেটের কাছে থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো। রবিবার শিক্ষাদপ্তরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
সোমবার তার পরিপ্রেক্ষিতেই জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হল হাই কোর্টে। জানা গিয়েছে, AISF অর্থাৎ বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে আইনজীবী সৌমেন হালদার মামলাটি দায়ের করে সরকারি বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানান। আবেদন বলা হয়েছে, সরকারি রং কেন স্কুলের পোশাকে? কেনই বা রাজ্য সরকারের ব্র্য়ান্ড তাতে খোদাই করার সিদ্ধান্ত? মামলাকারীর আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায় জানান, ”নীল-সাদা পোশাক নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। বিশ্ববাংলা লোগো নিয়ে আপত্তি রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ঝুলন্ত বাবা, বিছানা ও মেঝেয় পড়ে মা-মেয়ের দেহ, একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য]
এই নির্দেশের বিরোধিতায় সরব বিজেপির একাংশও। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের বক্তব্য, কেন্দ্রের টাকায় রাজ্য ইচ্ছেমতো নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করছে। স্কুলড্রেসের এই বিশেষ রং তারই প্রতিফলন, যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টে মামলা বিষয়টির গুরুত্ব আরও বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।