সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ৮ তারিখ বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে বিধান পরিষদ (Bidhan Parishad Bill) বিল। সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য বাজেট পেশের পরের দিনই এই বিল পেশ করা হবে। পাশাপাশি, বিধানসভা অধিবেশনের পূর্ণাঙ্গ সূচি জানিয়ে দেন তিনি।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২ জুলাই। ওইদিন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হবে অধিবেশন। পরের দু দিন – ৩ এবং ৪ জুলাই ছুটি। ৫ ও ৬ তারিখ রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক হবে। এর পর ৭ তারিখ দুপুর দুটোয় বাজেট পেশ। ৮ তারিখ বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হবে।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় হাজির থেকেও সর্বদল বৈঠক এড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, বাড়ছে জল্পনা]
২০১১ সাল থেকেই বিধান পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। এ নিয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনাও হয়েছে। একুশে ক্ষমতায় ফেরার পরই বিধান পরিষদ গঠনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, প্রথম বিধানসভা অধিবেশনেই এই বিল পেশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিপূর্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এই প্রস্তাব পাশ হয়।
কী এই বিধান পরিষদ?
দেশের সংসদে যেমন লোকসভা (Lok Sabha) এবং রাজ্যসভা দুটি কক্ষ থাকে, তেমনি রাজ্য আইনসভাতেও দুই কক্ষের নিয়ম আছে সংবিধানে। আইনসভার নিম্নকক্ষ বিধানসভা এবং উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ হিসেবে পরিচিত। তবে, এই বিধান পরিষদ রাজ্য সরকারগুলি চাইলে অবলুপ্ত করতে পারে, আবার তৈরিও করতে পারে। সেক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন জরুরি। বাংলাতেও ১৯৫২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদ ছিল। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেস এবং যুক্ত ফ্রন্টের সরকার তা বাতিল করে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যাঁদের বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁদের বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে।