সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশি হোক কিংবা বিদেশি, এ রাজ্যে মদের ব্যবসা করতে গেলে আবগারি দপ্তর থেকে লাইন্সেস বা অনুমতি নিতে হয়। তবে আর শুধু লাইন্সেস দেওয়াই নয়, জেলা জেলায় মদের দোকান খুলবে রাজ্য সরকারই! বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ দপ্তর। এ রাজ্যে সরকারি সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন লিমিটেড বা বেভকোকে মদের দোকান ও পানশালা খোলার লাইন্সেস দেওয়া হবে। এদিকে সরকার নিজেই যদি মদের ব্যবসা শুরু করে, তাহলে ব্যক্তি মালিকাধীন মদের দোকান লাইন্সেস পুনর্নবীকরণ নাও করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মদ ব্যবসায়ীরা।
[ খাস কলকাতায় উদ্ধার ২৪০৭ কেজি গাঁজা, ধৃত দুই ]
সময় বদলেছে, সমাজ বদলেছে। মদ খাওয়া নিয়ে আর ততটা ছুঁৎমার্গ নেই। বরং এখন অনেক বাড়িতেই উৎসব বা অনুষ্ঠানে একটু-আধটু পান করার রেওয়াজ আছে। ২০০৫ সালে লটারির মাধ্যমে এ রাজ্যে ১,৪০০ বিলাতি মদের দোকান খোলার লাইন্সেস দিয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেসে। ঘটনাচক্রে, রাজ্যে পালাবদলের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার উস্তি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষ মদ খেয়ে মারা যান ১৭২ জন। এই ঘটনা সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ড নামে পরিচিত। এরপরই দেশি ও বিলাতি মদের দোকান খোলার লাইন্সেস দেওয়া কার্যত বন্ধই করে দিয়েছিল বর্তমান রাজ্য সরকার। তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন লিমিটেড বা বেভকোকে তৈরি মদের পাইকারি কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়। সোজা বাংলায়, মদের দোকানে জোগান কমানোর চেষ্টা করে সরকার। আর এবার জেলা জেলায় খোলা হবে ‘সরকারি’ মদের দোকান।
কী রকম? ঠিক যেমনভাবে মদের ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার লাইন্সেস দেওয়া হয়, তেমনি এবার এ রাজ্যে মদের দোকান ও পানশালার খোলার লাইন্সেস পাবে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন লিমিটেড বা বেভকো। জেলায় জেলায় মদের দোকান ও পানশালা খুলবে সরকারি সংস্থাটি। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে এ রাজ্যে আবগারি জেলার সংখ্যা ২৮। দু’একটি জেলা ছাড়া সব জায়গায়ই বেভকোর নিজস্ব অফিস ও গুদাম আছে। প্রাথমিকভাবে ওই জেলাগুলিতে মদের দোকান খোলা হবে।
[ পুজোর মুখেই নিম্নচাপের খাঁড়া, আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’]
The post এবার জেলায় জেলায় মদের দোকান খুলবে খোদ রাজ্য সরকারই! appeared first on Sangbad Pratidin.