অভিরূপ দাস: ওষুধের বোঝা চাপানো যাবে না রোগীর পরিবারের ঘাড়ে। এমনই নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। নয়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল এছাড়াও রাজ্যের সমস্ত কোভিড হাসপাতালের সুপারিটেন্ডেন্টদের কাছে।
[আরও পড়ুন: চরমে দলীয় কোন্দল, ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি]
নির্দেশিকায় স্পষ্টতই বলা হয়েছে, প্রোটোকল অনুযায়ী যেসমস্ত নতুন ওষুধ কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহার করতে হবে তা জোগাড় করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রোগী যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তারই। কোনও ভাবেই রোগীর পরিবারের ঘাড়ে ওষুধ যোগাড় করার বোঝা চাপানো যাবে না। দীর্ঘদিন ধরেই রোগীর পরিবার অভিযোগ করছিল, করোনা চিকিৎসার জন্য রেমডিসিভির, এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ টোসিলিজুমাব পাওয়া যাচ্ছে না। রোগী যে হাসপাতালে রয়েছেন তার আশপাশে ওষুধ না পেয়ে খোলাবাজার থেকে বেশি দামে ওষুধ কেনার কথাও জানিয়েছেন অনেক রোগীর আত্মীয়।
সুযোগ বুঝে মুমূর্ষু রোগীর আত্মীয়র কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করছেন ব্যবসায়ীরা। ওষুধের কালোবাজারির হাত থেকে রোগীর পরিবারকে বাঁচাতেই নয়া এই নির্দেশ। সমস্যা রয়েছে আরও। সাধারণত পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বাড়ির সকলের কোয়ারেন্টাইনে থাকাই দস্তুর। সেক্ষেত্রে ওষুধ জোগাড় করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন বাড়ির লোকেরা। ওষুধের দোকান মালিকরা করোনা আক্রান্তের পরিবারের লোকেদের দোকানে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছেন। এক পরিবারের সকল সদস্য করোনায় আক্রান্ত এমন উদাহারণও ভুরিভুরি। তাদের ক্ষেত্রে ওষুধ জোগাড় করা আরও সমস্যার। নয়া এই নির্দেশে ওষুধ জোগাড় করে দিতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই। ফলে চিকিৎসায় দেরি হওয়ার জন্য রোগীর পরিবারের ঘাড়ে দায় চাপাতে পারবেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে সংক্রমণ, রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে ফের বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ]
The post করোনা চিকিৎসার ওষুধ জোগাড় করতে হবে হাসপাতালকেই, নয়া নির্দেশ রাজ্যের appeared first on Sangbad Pratidin.