ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জটিলতা কাটিয়ে ফের নবনির্বাচিত বিধায়কের (MLA) শপথের দিনক্ষণ স্থির করল রাজভবন। ৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার শপথগ্রহণ, তা উল্লেখ করে ধূপগুড়ির বিধায়কের কাছে ফের পৌঁছল চিঠি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নির্মলচন্দ্র রায়ের কাছে রাজভবনের (Rajbhaban) তরফে শপথগ্রহণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। রাজভবনে এসেই তাঁকে শপথ নিতে বলা হয়েছে। এদিনে সকালে ধূপগুড়িতে (Dhupguri) চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। বিধায়ক বাড়িতে না থাকায় চিঠিটি বিধায়কের হয়ে ‘রিসিভ’ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে পরে পরিষদীয় দলের কথা হয়। পরিষদীয় দল নির্মলচন্দ্র রায়কে কলকাতা চলে আসার নির্দেশ দেয়। শুক্রবার তিনি কলকাতা (Kolkata) আসছেন বলে খবর।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের (Dhupguri By-election) ফলপ্রকাশ হলেও বিধায়কের শপথ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফাভাবে ২৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ গত শনিবার দিন স্থির করে বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল রাজভবনের তরফে। যদিও সেই চিঠি অনেকটা দেরিতেই পান ধূপগুড়ির বিধায়ক। ততদিনে শপথের দিন পেরিয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: পড়ুয়া খুনে শোকপ্রকাশ, মণিপুরে ‘ন্যায়বিচার’ চেয়ে কেন্দ্রকে বিঁধলেন মমতা]
এর পর বিধানসভায় ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণের (Oath taking) অনুমতি চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরও রাজভবন থেকে কোনও উত্তর আসেনি। এর আগে স্পিকারকে এড়িয়ে ডেপুটি স্পিকারকে শপথ গ্রহণের জন্য রাজভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও সেই শপথগ্রহণ হয়নি। কারণ, ডেপুটি স্পিকার রাজ্যপালের এই স্পিকারকে (Speaker) না জানিয়েই ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। ফলে মনে করা হচ্ছিল, চলতি মাসে আর শপথ হবে না।
[আরও পড়ুন: ডাইনি অপবাদে আদিবাসী পরিবারকে হেনস্তা! ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর খবরের জেরে দায়ের মামলা]
কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের পটবদল। ৩০ তারিখ অর্থাৎ শনিবার শপথের নতুন দিন স্থির করে রাজভবনের তরফে চিঠি পৌঁছয় ধূপগুড়িতে। সেইমতো পরিষদীয় দলের সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবারই কলকাতায় আসছেন নির্মলচন্দ্র রায়। শনিবার রাজভবনে তাঁর শপথ। আসলে পরিষদীয় দল শপথ নিয়ে ইতি টানতেই আগ্রহী। সেই কারণে রাজভবনে শপথের সিদ্ধান্ত গৃহীত হল।