অর্ণব দাস, বারাকপুর: স্কুলে চুরি করতে গিয়ে নগদ টাকা বিশেষ পায়নি। তাই এক শিক্ষিকার রেখে যাওয়া চিপসের প্যাকেট খেয়ে পেট ভরাল চোর! তাজ্জব এই ঘটনার সাক্ষী বারাকপুর তালপুকুর গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়া-সহ অভিভাবকেরা।
দ্বাদশ শ্রেণির এই স্কুলটি পড়ুয়াদের হুল্লোড়ে গমগম করে সোম থেকে শনি। তাই স্থানীয়দের অনুমান, চোরেরা হয়ত ভেবেছিল লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা থাকতে পারে তালপুকুর গার্লস হাই স্কুলে। এই অনুমানেই নগদ অর্থ চুরির উদ্দেশ্যেই মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে স্কুলের পিছনের দিক থেকে দোতলায় উঠেছিল চোরেরা, পুলিশ ও স্কুল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
সবকটি গেট মিলিয়ে ১০-১১টি তালা ভাঙতে হয়েছিল। নিচতলায় ঢুকে সবকটি ঘর মিলিয়ে ১৩-১৪টি আলমারি দেখতে পায় চোরেরা। সবকটি ভেঙে লকার খোলা হয়েছিল বলেই অভিযোগ। কিন্তু সেই অর্থে কিছুই পায়নি। শেষে একটি চিপসের প্যাকেট পায়। তা খেয়ে পেট ভরায় চোরেরা। অবশেষে মাত্র সাড়ে আটশো টাকা চুরি করে। স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা স্পিহা রায়ের কথায়, "সব আলমারির তালা ভাঙা ছাড়া আর তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি। ওরা (চেরেরা) স্টাফরুমেও গিয়েছিল। সেখানে একটি আলমারির ভিতরে এক শিক্ষিকার চিপসের প্যাকেট ছিল। সেটা ছিঁড়ে স্টাফরুমে বসে অর্ধেক খেয়ে প্যাকেট ফেলেছে। একটি জলের বোতল থেকে জলও খেয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের বালাও আলমারিতে ছিল, কিন্তু নিয়ে যায়নি। তাই অনুমান, চোরেরা নগদ টাকাই চুরি করতে এসেছিল।"
প্রধান শিক্ষিকা চিত্রা বন্দোপাধ্যায় বলেন, "গ্রুপ ডি কর্মচারীরা স্কুলে এসে দেখেন সবকটি গেট মিলিয়ে ১০-১১টি তালা ভাঙা। ১৩-১৪টি আলমারি ভেঙে লকার খোলা। যতটুকু দেখেছি কাগজ সেই অর্থে চুরি হয়নি। ফর্মের সঙ্গে যে নগদ সাড়ে আটশো টাকা ছিল, সেটাই চুরি হয়েছে।" টিটাগড় থানার অভিযোগ জানানো হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।