অভিরূপ দাস: কোভিড রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও মুক্তি দিচ্ছিল না হাসপাতাল। কোনওরকমে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে অভিযোগ জানালেন রোগী। “স্রেফ বিল বাড়ানোর অছিলায় সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও আটকে রেখেছিল হাসপাতাল।” সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে ক্ষুব্ধ রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান ডা. অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: দুর্গন্ধ ঢাকতে যুবকের দেহের সঙ্গেই পোড়ানো হয় কর্পূর-ঘি! সল্টলেক কাণ্ডে প্রকাশ্যে নয়া তথ্য]
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কোভিড আক্রান্ত (Corona Positive) হয়েছিলেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা সন্ন্যাসী চরণ দাস। শালবনি কোভিড হাসপাতালে ভরতি হতে গেলেই বাধে বিপদ। অভিযোগ, শালবনির ওই হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ব্যক্তি তাঁকে জানান, এখানে ভাল চিকিৎসা মিলবে না। কলকাতার তপসিয়ার আর ফ্লেমিং হাসপাতালে কোভিডের (COVID-19) সঠিক চিকিৎসা মিলবে। ওই দুই ব্যক্তিকে ভরসা করে কলকাতায় আসেন সন্ন্যাসী। ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ভরতি হন তপসিয়ার আর ফ্লেমিং হাসপাতালে। দিন দুয়েক হাসপাতালে থাকার পরে সন্ন্যাসীবাবু বুঝতে পারেন তিনি ফাঁদে পড়েছেন।
কোনও শ্বাসকষ্ট, শারীরিক অসুবিধা না থাকলেও তাঁর নানানরকম টেস্ট হতে থাকে। অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে ছুটি চাইলেও তাঁকে তা দেওয়া হয়নি। অবশেষে ১১ দিন পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পরেন তিনি। ১১ দিনে সন্ন্যাসীর কোভিড চিকিৎসার বিল হয়েছে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার। অথচ ফ্লেমিং হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার খুঁটিনাটি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে মাত্র দু’দিন আইসিইউতে ছিলেন। বাকি ন’দিন ছিলেন জেনারেল বেডে। এখানেই স্বাস্থ্য কমিশন চেয়ারম্যানের প্রশ্ন, “৫ লক্ষ টাকার উপর বিল হল কী করে? যেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেরাও আমাদের কাছে স্বীকার করেছে জেনারেল বেডেই চিকিৎসা হয়েছে ওই রোগীর।” অবিলম্বে মূল বিল থেকে ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে রোগীর পরিবারকে।