শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গতকাল থেকে ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটকে আছে পণ্যবাহী গাড়ি। বিপাকে পড়েছেন গাড়ি চালকরা।
সিমলা থেকে আসছে আপেল, পাঞ্জাব থেকে আসছে নাসপাতি, দিল্লি থেকে সেনা ক্যাম্পের জন্য প্যাকেটবন্দি খাবার। সব আটকে আছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ডুবুডি চেকপোস্টে। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে আটকে আছে জরুরি পরিষেবার গাড়িও। রাতেই ডুবুডি চেকপোস্টে ছুটে আসেন ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা জানতে চান, কেন আটকে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি? জেলা পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ।
ডিভিসি অনবরত জল ছাড়ায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলমগ্ন এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন। এর পরই ৭২ ঘন্টার জন্য বাংলা ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল(Bengal Jharkhand Border Sealed) করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আসতেই আসানসোল ঝাড়খণ্ড সীমানার ৫টি নাকা চেকপোস্ট সিল করে দেয় পুলিশ। সন্ধে ছটার পর থেকে আসানসোল ঝাড়খণ্ডের সংযোগকারী বিভিন্ন জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক ও নাকা চেক পোস্টগুলি পুলিশ আটকে দেয়।
ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আসানসোল-ঝাড়খণ্ড সীমানার ৫টি নাকা পয়েন্ট বা বর্ডার সিল করার কাজ শুরু হয়। ধানবাদ-আসানসোলের সংযোগকারী কল্যাণেশ্বরী-ডুবুডিহি চেকপোস্ট, বরাকর নদের উপর চিরকুণ্ডা-বরাকর চেকপোস্ট, ঝাড়খণ্ডের নলা-বারাবনির উপর রুনাকুড়া ঘাট, জামতাড়া-রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট ও মাইথন ড্যাম পেরিয়ে কল্যাণেশ্বরী রোডের নাকা চেকপোস্ট আটকে দেয় পুলিশ। পণ্যবাহী গাড়ি আটকে দেওয়া হয় বা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি হেড কোয়ার্টার অরবিন্দ কুমার আনন্দ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই বর্ডার সিল করা হয়।" তবে জয়পুর, বিহারের ভাগলপুর থেকে আসা লরি চালকরা জানান, কেউ যাচ্ছিলেন কলকাতা কেউ বা মেদিনীপুর। কেন ডুবুডি চেকপোস্টে আটকে পড়লেন তাদের জানা নেই। যদিও পুলিশ জানায়, যাত্রীবাহী গাড়ি ও জরুরি পরিষেবার পণ্যবাহী গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চালকদের অভিযোগ জরুরি পরিষেবার গাড়িও হচ্ছে না।