সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে বিক্রি। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বালিয়া থেকে উদ্ধার করে আনল সুন্দরবন জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চক্রের চাঁই-সহ তিনজনকে।
টিউশন পড়তে গিয়ে দু’মাস আগে নিখোঁজ হয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলপির এক নাবালিকা। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ ছিল না ওই ছাত্রীর। তার বাবা কুলপি থানায় গত ২১ অক্টোবর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ জানান। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে সুন্দরবন জেলা পুলিশ। কুলপি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বাপি রায় জানিয়েছেন, এরই মধ্যে একবার নাবালিকার মায়ের মোবাইলে ফোন আসে। ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা হয় ওই নাবালিকার। কিন্তু তারপর থেকেই সেই ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ফোনের সূত্র ধরেই অপহৃতার উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
[আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিপত্তি, মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের]
নিখোঁজ ছাত্রীকে উদ্ধার করতে এসআই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাতজনের একটি বিশেষ দল যায় উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় বালিয়ার একটি নাচের ঠেক থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকা ছাত্রীকে। মন্দিরবাজারের ডিএসপি বিশ্বজিৎ নস্কর জানিয়েছেন, “ওই নাচের দলটির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল নাবালিকাকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাচার চক্রের তিনজনকে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেহালার এক যুবকের সঙ্গে ওই নাবালিকার পরিচয় হয়েছিল। ওই যুবকই ছাত্রীটিকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে পাচার করে। যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গ্রেপ্তার হওয়া মহেশতলার সন্তোষপুরের হানিফ শেখ ওরফে বাসার ও শেখ ইরফান এবং চক্রের মূল পান্ডা উত্তরপ্রদেশের দেউরিয়ার হামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা সলমান হাশমিকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে তিনজনকেই সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচারচক্রের বাকিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এদিকে উদ্ধার হওয়া নাবালিকাকে মেডিকেল করিয়ে এদিন হোমে পাঠানো হয়েছে।