স্টাফ রিপোর্টার: টেমসের মতো সাজবে গঙ্গার দুই পাড়। লাগবে গাছ। সাজানো হবে স্থানীয় সংস্কৃতিতে। বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় জল পরিবহণকে আরও আধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। প্রথম ধাপে ডায়মন্ড হারবার থেকে কল্যাণী এবং দ্বিতীয় ধাপে কল্যাণী থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত এই সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে। পাশাপাশি নামবে দূষণহীন আধুনিক জলযান। তৈরি হবে চার্জিং স্টেশন, নতুন জেটিও।
মঙ্গলবার নিউটাউনে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে একথা জানান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। একইসঙ্গে এই আধুনিক জেটি রক্ষণাবেক্ষণে স্থানীয় পুরসভার ভূমিকার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। জল পরিবহণ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠান এদিন ছিল। সেখানে উপস্থিত কলকাতা পুরসভার মেয়র ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও একই সুর শোনা যায়। তিনিও বলেন, ‘‘স্থানীয় পুরসভাকে উদ্যোগী হতে হবে নতুন জেটিঘাট রক্ষণাবেক্ষণে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই ই-ভেসেল নামানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গঙ্গার দু’ধারে আমরা গাছ লাগাব। কলকাতা শহরে ১ কোটি গাছ লাগানো হবে।’’
[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে গতি আনতে নয়া কর্মসূচি রাজ্যপালের, চালু হেল্পলাইন]
পুরমন্ত্রী এবং পরিবহণমন্ত্রী দু’জনেই জল পরিবহণের আধুনিকীকরণে স্থানীয় পুরসভার ভূমিকার উপর জোর দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। স্নেহাশিস বলেন, ‘‘জলপথ পরিবহণকে আমরা আধুনিক মানের করে গড়ে তুলব। ১৫টা পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক জলযান তৈরি হচ্ছে। সেগুলোর জন্য চার্জিং স্টেশন তৈরি হবে। প্রত্যেক পুরসভার চেয়ারম্যানকে তাঁর এলাকার গঙ্গার দুই ধারে গাছ লাগানোর জন্য অনুরোধ করছি। তাতে সৌন্দর্যায়ন বাড়বে।’’ একইসঙ্গে নতুন জেটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিলাম করে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান পরিবহণমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, ‘‘নতুন জেটি নির্মাণ করে দিচ্ছি। রক্ষণাবেক্ষণ করাটা বড় কাজ। না হলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয়ভাবে নতুন জেটিগুলো নিলাম করে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাতে যে টাকাটা পাওয়া যাবে, তার একটা ছোট অংশ বিশ্বব্যাঙ্কের এই প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হবে। বাকি ৮০ শতাংশ যে দুই ঘাটের মধ্যে ফেরি চলাচল করবে, সেই গঙ্গার দুই পাড়ের পুরসভা ভাগ করে পাবে।’’ পাশাপাশি রো রো পরিষেবা চালুর কথাও এদিন শোনা গিয়েছে স্নেহাশিসের গলায়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, দপ্তরের সচিব সৌমিত্র মোহন-সহ পুর ও পরিবহণ দপ্তরের একাধিক আধিকারিকরা।